◆নিজের বই হাতে স্ত্রী,জামাই এবং মন্ত্রী সুজিত বসুর সঙ্গে সুব্রত ভট্টাচার্য ◆
ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : ‘ষোলো আনা বাবলু’ – সুব্রত ভট্টাচার্যের আত্মজীবনী বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে তারকার মেলা। মোহনবাগান দিবসেই ঘরের ছেলে বাবলুকে নিয়ে বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে এক ঝাঁক প্রাক্তনদের সঙ্গে ছিলেন আইএফএ, ইস্টবেঙ্গল কর্তারাও। ছিলেন মন্ত্রী সুজিত বসু। আর এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুব্রতর জামাই এবং ভারতীয় দলের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। আগে কখনও ময়দানের কোনও অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি। আজ কিন্তু এলেন, মঞ্চেও উঠলেন। তিনি হলেন সুব্রতর স্ত্রী লতা ভট্টাচার্য।
সুনীলকে প্রশ্ন করা হয়, কে তাঁর কাছে প্রিয়, শ্বশুর সুব্রত না কোচ সুব্রত? শাশুড়ির পাশে বসে সুনীলের ছোট্ট উত্তর হল,”আমার কাছে শ্বশুর নয়, বাবলুদাই প্রিয়। কারণ উনিই আমাকে প্রথম মাঠে নামার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন।” পরে পোডিয়ামে দাঁড়িয়ে সুনীল তাঁর কলকাতায় ফুটবল জীবনের শুরুর কথা বলতে গিয়ে শ্বশুরের কথাই বললেন। “এই মঞ্চে অনেক বড় বড় প্লেয়াররা আছেন। সুব্রত ভট্টাচার্য সম্পর্কে অনেকেই অনেক কথা বললেন। আমি সেই ব্যাপারে কিছুই বলব না। কারণ, উনি যখন খেলতেন তখন আমি পৃথিবীতেই আসিনি। আর ওনার খেলার ভিডিও নেই। তাই আমি ওনার খেলার ব্যাপারে কিছু বলব না। তবে আমি যখন প্রথম কলকাতা এসে মোহনবাগানে যোগ দিলাম, তখন বুঝতাম না, মোহনবাগান মানে মা, খারাপ, ভাল সময়ে ফুটবল খেলো। এই আবেগটাই জানতাম না।মোহনবাগান,কলকাতার ফুটবল সব কিছুই বুঝিয়েছেন,শিখিয়েছেন এই মানুষটা (সুব্রতকে দেখিয়ে)।” বলছিলেন সুনীল।
সুব্রত যে আপাদমস্তক মোহনবাগানি সেটা মনে করিয়ে সুনীল বলছিলেন,”মোহনবাগান- বিএফসির ম্যাচ হলে আমার শ্বশুরবাড়ির কেউ একজন আমাদের সমর্থন করে। নামটা বলছি না। সমস্যা হবে। কিন্তু বিএফসির ম্যাচে মোহনবাগান জিতলে খুশি হয়েছেন এই মানুষটা (সুব্রতকে দেখিয়ে)।”
এদিন, সুব্রত ভট্টাচার্য সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য,সমরেশ চৌধুরী,গৌতম সরকার,শ্যাম থাপা, প্রসূন ব্যানার্জি,মন্ত্রী সুজিত বসু, ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার, আইএফএ সচিব অনির্বান দত্ত, কুনাল ঘোষ।
এদিন এই মঞ্চ থেকেই মন্ত্রী সুজিত বসু ঘোষণা করে জানান, সল্টলেকের HB ব্লকের খেলার মাঠটি সুব্রত ভট্টাচার্যের নামে করবেন। প্রসঙ্গত, আগামীকাল (রবিবার) মোহনবাগান দিবস উপলক্ষ্যে গৌতম সরকারকে’মোহনবাগান রত্ন’ পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।