এটিকে মোহনবাগান – ১ রয় কৃষ্ণা (৯০+৪)
ওড়িশা এফ সি – ০
ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : টানা তিন ম্যাচে জয়। অর্থাৎ জয়ের হ্যাটট্রিক। তিন ম্যাচে ৯ পয়েন্ট পেয়ে আপাতত লিগ তালিকার শীর্ষে এটিকে মোহনবাগান। কেরালা ব্লাস্টার্স, এসসি ইস্টবেঙ্গলকে হারানোর পর বৃহস্পতিবার ওড়িশা এফসিকে হারিয়ে জয়ের ছন্দ ধরে রাখলেন সবুজ-মেরুনের ফুটবলাররা। আর গোলের মধ্যে আছেন ফিজির স্ট্রাইকার রয় কৃষ্ণা। এদিন সবাই যখন ধরেই নিয়েছে ম্যাচ ড্র। অতিরিক্ত সময় চলছে। ঠিক সেই মোক্ষম সময়ে সেট পিস মুভমেন্ট থেকে হেডে গোল করে জয় এনে দিলেন কৃষ্ণা। অনেক কষ্টে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়লেন বাগানের ফুটবলাররা। পরপর তিন ম্যাচে কৃষ্ণার তিন গোল।
ম্যাচের শেষে তিন পয়েন্টই আসল। স্কোর বোর্ডে সংখ্যাটাই লেখা থাকে। ম্যাচের ভাল খারাপ লেখা থাকে না। যেমন আজকের ম্যাচে ছন্দ,গন্ধহীন ফুটবল লেখা থাকবে না।
ম্যাচের শুরু থেকেই মোহনবাগান যেন তাড়াহুড়ো করছিল। বেশি সংখ্যায় পাসিং ফুটবল নেই, সংগঠিত আক্রমণ নেই, ছিল অকারণে প্রতিপক্ষকে ফাউল করার ইচ্ছা। কেরল ও ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে যে ফুটবল খেলেছিল সেটা ওড়িশার বিরুদ্ধে দেখা গেল না হাবাসের ছেলেদের মধ্যে।
প্রথমার্ধের প্রথম কুড়ি মিনিটে ওড়িশাই বারেবারে আক্রমণে যাচ্ছিল। ম্যাচের আট মিনিটেই মার্সিলিনহোকে আটকাতে গিয়ে হলুদ কার্ড দেখেন তিরি। এরপর বেশ কয়েকটি ভাল আক্রমণ তুলে আনেন ওড়িশা এফসির খেলোয়াড়রা। তবে ২৫ মিনিটে তিরির অসাধারণ পাস থেকে শট নিয়েছিলেন রয় কৃষ্ণ। কিন্তু তাঁর শট বারের উপর দিয়ে চলে যায়। তবে ৩৪ মিনিটে ওড়িশার হয়ে দিনের সহজতম সুযোগটি নষ্ট করেন জ্যাকব। এরপর প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে ফের একবার সুযোগ পেয়েছিলেন রয় কৃষ্ণ। কিন্তু সেই সুযোগ হেলায় হারান তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধের ফুটবল ছিল প্রথমার্ধের মতোই। আক্রমণ–প্রতি আক্রমণে খেলা হলেও কোনও দলই গোলের মুখ খুলতে পারে। একদিকে রয় কৃষ্ণ–ব্র্যাড ইনমান এবং অন্যদিকে, মৌরিসিও–মার্সিলিনহো জুটি দু’দলের আক্রমণকে নেতৃত্ব দিলেও কাজের কাজটি কেউই করতে পারেননি। শেষপর্যন্ত সবাইকে অবাক করে পরিত্রাতা হয়ে দেখা দিলেন বাগানের কৃষ্ণ। ম্যাচের সেরা হয়েছেন রয় কৃষ্ণা।