রেলওয়ে এফসি – ১ (শুভেন্দু মান্ডি)
জর্জটেলিগ্রাফ স্পোর্টস ক্লাব – ০
ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : সালটা ছিল১৯৫৮। ইস্টার্ন রেল দলের কোচ তখন বাঘা সোম। আর সেই রেল দলে তখন খেলছেন পি কে ব্যানার্জি, নিখিল নন্দী, প্রদ্যোৎ বর্মন প্রমুখ দিকপাল ফুটবলাররা। সেই বছরে কলকাতার সমস্ত বড় ক্লাবকে হারিয়ে কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইস্টার্ন রেল। যা বাংলার ফুটবলে ইতিহাস তৈরি করেছিল রেল ফুটবল দল। ওটাই ছিল রেলের প্রথম ও শেষ কলকাতা (এখনও পযর্ন্ত ) লিগ জয়।
পরবর্তীকালে চন্দ্র মেমোরিয়াল নামে একটি ক্লাবকে অধিগ্রহণ করে রেল। শোনা যায়, আটের দশকে এই চন্দ্র মেমোরিয়াল ক্লাবের নাম বদলে হয় রেলওয়ে এফসি।
গত কয়েক দশক ধরে রেলের এই দুটি ফুটবল দল লিগে লড়াই করে এসেছে। তাদের লক্ষ্যটাই ছিল লিগে অবনমন যেন না হয়। এবার ছবিটা পাল্টেছে। মোহনবাগান,ইস্টবেঙ্গল এবার লিগে অংশ না নেওয়ায় তথাকথিত ছোট ক্লাব দলের কাছে লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রাস্তা খোলাই ছিল। এবার রেলওয়ে এফসি যেন সেই সুযোগটাই কাজে লাগিয়েছে নিঃশব্দে। দীর্ঘ ৬৩ বছর পর ফের ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে রেল।
শুক্রবার নৈহাটিতে কলকাতা ফুটবল লিগ কাম নক আউটের সেমিফাইনালে জর্জ টেলিগ্রাফ স্পোর্টস ক্লাবকে ১-০ গোলে হারিয়ে লিগের ফাইনালে পৌঁছে গেল রেলওয়ে এফসি। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে কোনও দলই গোল করতে পারেনি। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে টপ বক্সের একটু বাইরে থেকে পাওয়া ফ্রিকিক থেকে বিশ্বমানের গোল করেন রেলের শুভেন্দু মান্ডি। জয়সূচক গোল। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন ম্যাচের একমাত্র গোলদাতা শুভেন্দু। প্রতিভাবান প্লেয়ারের পুরস্কার পেয়েছেন জর্জের শ্রীকুমার কার্জি। ভ্যালিউয়েবল প্লেয়ারের স্বীকূতি পেলেন রেলের অচিন্ত ঘোষ।
শনিবার লিগের কোয়ার্টার ফাইলে মুখোমুখি হবে মহমেডান স্পোর্টিং ও ভবিনীপুর ক্লাব। এই ম্যাচের জয়ী দল সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে ইউনাইটেড স্পোর্টসের বিরুদ্ধে।