ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন,৩০ এপ্রিল : ‘মোহনবাগান অ্যাভিনিউ’-এর পর শিলিগুড়ি শহরে এবার ‘ইস্টবেঙ্গল রোড’। আজ, শিলিগুড়ি কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম সংলগ্ন রাস্তার (বিএসএনএল অফিসের মোড থেকে গান্ধীমূর্তি পযর্ন্ত ) নাম হল ‘ইস্টবেঙ্গল রোড।’
ইস্টবেঙ্গলের গড় হল এই শিলিগুড়ি শহর। অতীতে এই শহরের একমাত্র কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে ফুটবলের ডার্বি ম্যাচ হলেই লাল-হলুদ সমর্থকদের দাপট চোখে পড়ার মতো ছিল। ২ এপ্রিল সেই ইস্টবেঙ্গলের শহর শিলিগুড়ির এক রাস্তা মোহনবাগান ক্লাবের নামে ‘মোহনবাগান অ্যাভিনিউ’ হয়েছে। তখনই শিলিগুড়ি পুর নিগমের চেয়ারম্যান গৌতম দেব ঘোষণা করেছিলেন,খুব শীঘ্রই ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের নামে শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম সংলগ্ন রাস্তার নাম করণ হবে। ‘মোহনবাগান অ্যাভিনিউ’-এর ২৮ দিনের মাথায় শিলিগুড়িতে আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন হল ‘ইস্টবেঙ্গল রোড’-এর।
এদিনের অনুষ্ঠানে শিলিগুড়িতে উপস্থিত ছিলেন একঝাঁক প্রাক্তন ফুটবলার। ভাস্কর গাঙ্গুলি, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য,বিকাশ পাঁজি,অলোক মুখার্জি, অতনু ভট্টাচার্য থেকে মিহির বসু, কৃষ্ণেন্দু রায়, সুমিত মুখার্জি, প্রশান্ত ব্যানার্জিদের নিয়ে শিলিগুড়ি শহরে এক শোভাযাত্রা বেরোয়। ছিলেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের অন্যতম কর্তা দেবব্রত সরকার ও স্থানীয় লাল-হলুদ জনতা।
শোভাযাত্রা শেষে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম চত্তরে একটি অনুষ্ঠানও হয়। শহর কলকাতা থেকে বেরিয়ে উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়িতে ভারতীয় ফুটবলের দুই প্রধান ক্লাবের নামে রাস্তা হওয়াটা ইতিবাচক দিক। সংবাদ মাধ্যমকে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কর্তা দেবব্রত সরকার জানিয়েছেন,শিলিগুড়ি শহরে একটা ফুটবল অ্যাকাডেমি করার ইচ্ছে। আর কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম সংস্করণের পর চেষ্টা করবেন উত্তরবঙ্গে নিজেদের হোম গ্রাউন্ড করা।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুরনিগমের আধিকারিকরা, ছিলেন শিলিগুড়ি ক্রীড়া মহকুমা পরিষদের সচিব কুন্তল গোস্বামী। সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠান শেষ হলেও মাঝখানে একটু তাল কেটে গিয়েছিল। যে সমস্ত ভারতের প্রাক্তন ফুটবলাররা অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন তাঁদের প্রথমে অস্থায়ী মঞ্চেই ডাকা হয়নি। নিচে বসেছিলেন। পরে পুরনিগমের চেয়ারম্যান গৌতম দেব নিজে প্রাক্তনদের ডেকে নিয়ে অনুষ্ঠানে গতি এনেছেন। সকল প্রাক্তনদের সংবর্ধনাও দেওয়া হয়। তবে এই অনুষ্ঠানে ডাক না পাওয়ায় অভিমান হয়েছে ইস্টবেঙ্গলে খেলে যাওয়া শিলিগুড়ির মনজিৎ সিংয়ের।