◆জ্যোর্তিময়-এর হয়ে হ্যাটট্রিক করে পার্থিব রাহা রায়◆
ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : একটা সময় এটিকে মোহনবাগানের অনূর্ধ্ব-১৩ দলের হয়ে আই লিগ খেলেছে। তারও পরে মোহনবাগানের অনূর্ধ্ব-১৫ দলেও খেলেছে। কিন্তু কখনও কলকাতা লিগে খেলার সুযোগ হয়নি শিলিগুড়ির সুভাষ পল্লীর পার্থিব রাহা রায়। এবছর বয়স ভিত্তিক লিগ হওয়ায় কলকাতা লিগে খেলার সুযোগ পেয়েছে। শিলিগুড়ির মর্নিং সকার কোচিং ক্যাম্পে ফুটবল শুরু পার্থিবের। এবছর কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্যের হাত ধরে তৃতীয় ডিভিশন ক্লাব জ্যোর্তিময় অ্যাথলেটিক ক্লাবে সই করেছে। উইং ও ফরোয়ার্ড – দুটি জায়গায় খেলতে পারে অনায়াসে। সোমবার কলকাতা লিগের তৃতীয় ডিভিশনের খেলায় মূলত পার্থিবের চমৎকার ফুটবলে বড় জয় পেয়ে গেল সোনারপুরের জ্যোর্তিময় অ্যাথলেটিক ক্লাব।
এদিন, হাইকোর্ট মাঠে পার্থিবের দুরন্ত হ্যাটট্রিকের ফলে জ্যোর্তিময় ৪-১ গোলে হারাল ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনাইটেড ক্লাবকে। পার্থিব তিনটি ও তহিল হালদার একটি গোল করে। ইউনাইটেডের গোলদাতা শান্তনু রায়। জ্যোর্তিময়ের কোচ সুব্রত বিশ্বাস বলছিলেন,”আমাদের দলে এবার বেশ কিছু ফুটবলার আছে,যাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। পার্থিব বেশ ভাল প্লেয়ার। আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচ নিয়ে ভাবছি। লক্ষ্য একটাই চ্যাম্পিয়ন হওয়া।”
হ্যাটট্রিক করে ‘ইনসাইড স্পোর্টস’কে পার্থিব বলছিল,”প্রথম কলকাতা লিগ খেলছি। ভাল লাগছে। প্রতি ম্যাচে ভাল খেলার চেষ্টা করব। কোচেরা যেমন পরামর্শ দেবেন সেই মত খেলব। হ্যাটট্রিক করে ভাল লাগছে।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পার্থিবের মতোই জ্যোর্তিময় অ্যাথলেটিক ক্লাব এবছর প্রথম কলকাতা লিগ খেলছে। আইএফএ-এর সদ্য প্রাক্তন সহসভাপতি পার্থসারথী গাঙ্গুলি সোনারপুরের কালিকাপুরে নিজের স্কুলের নামেই এবছর প্রথম কলকাতা লিগ খেলছে। পরপর দুই ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে।
এদিন একই ডিভিশনে ভারতের প্রাক্তন ফুটবলার মানস ভট্টাচার্যের দায়িত্বে থাকা অ্যালবার্ট ২-০ গোলে হারাল গরলগাছা স্পোর্টিং ক্লাবকে। অ্যালবার্টের হয়ে গোল করেছে প্রীতম বিশ্বাস ও রাজেশ প্রামাণিক।
এই অ্যালবার্টের কোচ হচ্ছেন দীব্যেন্দু ঘোষ। তিনি একটা সময় ভবানীপুর ক্লাবকে পঞ্চম ডিভিশন থেকে প্রথম ডিভিশনে তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন। “আমাদের টিম যথেষ্ট ব্যালান্সড। ছেলেরা প্রত্যেক ম্যাচে ভাল খেলছে। একটা লক্ষ্যকে সামনে রেখে এগোচ্ছি।” বলছিলে অ্যালবার্টের কোচ দিব্যেন্দু ঘোষ। তাঁর মাথার উপরে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে আছেন মানস ভট্টাচার্য। টাউন মাঠে কোচের সঙ্গে তিনিও সারাক্ষণ ফুটবলারদের ভুল শুধরে দিচ্ছিলেন।
এদিন তৃতীয় ডিভিশনের আরও তিনটি ম্যাচ ছিল। তালতলা মাঠে কালিঘাট ক্লাব ও কুমারটুলি ইনস্টিটিউট ১-১ ম্যাচ শেষ হয়েছে। কালিঘাটের হয়ে গোল করেছে ফইজান আখতার। কুমারটুলির গোলদাতা দীপক দাস। বিজি প্রেস মাঠে বেহালা ইউথ অ্যাসোসিয়েশন ১-০ গোলে হারাল গ্রিয়ার স্পোর্টিং ক্লাবকে। জয়সূচক গোলটি করে রাজেশ মান্ডি।
অন্যদিকে, পুলিশ মাঠে অ্যাডামাস ইউনাইটেড ১-০ গোলে হারাল ট্যাংরা ফুটবল ক্লাবকে। অ্যাডামাসের হয়ে গোল করেছে স্বর্ণদীপ সাংমা।