ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন,১২ এপ্রিল : বুধবার থেকে শুরু হয়ে গেল অনূর্ধ্ব-১৭ আন্তঃজেলা ফুটবল প্রতিযোগিতা। আজ শিলিগুড়ি শহরের চাঁদমানি মাঠে উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদ ও কালিমপং জেলা ক্রীড়া সংস্থার দল। প্রথম ম্যাচ ৩-৩ গোলে অমীমাংসিত ভাবে শেষ হয়েছে। শিলিগুড়ির হয়ে গোল করেছেন গ্লেইন, অবিয়ান ছেত্রী ও বিকাশ সপকার। কালিমপংয়ের হয়ে একটি করে গোল করেছেন বি তামাং, সাগর ও ক্রিস ভুজেল।
অনূর্ধ্ব-১৭ আন্তঃজেলা ফুটবল প্রতিযোগিতা ২৩ টি জেলা দল নিয়ে হচ্ছে। শিলিগুড়ি,কোচবিহার,দক্ষিণ দিনাজপুর, চুচুড়া,বোলপুর(বীরভুম),বাঁকুড়া ও পূর্বমেদিনীপুরের মহিষাদল মিলিয়ে মোট সাতটি জায়গায় এই খেলাগুলি হবে। সেমিফাইনাল ও ফাইনাল হবে কলকাতায়।
শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের মৃল মাঠের অবস্থা ভাল নয়। সেই কারণেই এই প্রতিযোগিতার শিলিগুড়ি ভেন্যুর ম্যাচগুলি কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের পরিবর্তে চাঁদমানি মাঠে হচ্ছে। তবে গত কয়েকদিন ধরে মারাত্মক তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ফুটবলারদের থেকে স্থানীয় সংগঠকদের একটু সমস্যা হচ্ছে। তবে শিলিগুরি পুর নিগমের মেয়র গৌতম দেব এই প্রতিযোগিতাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছেন। পাশাপাশি সক্রিয়ভাবে ম্যাচ গুলি পরিচালনা করতে তৈরি শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের কর্তারা। এই গরমে ম্যাচ খেলার কারণে ফুটবলারদের সুরক্ষার দিকে নজর রাখছে শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের সকল কর্তারা।
এদিকে অনূর্ধ্ব-১৭ আন্তঃজেলা ফুটবল প্রতিযোগিতার জন্য গতকালই শিলিগুড়ি পৌঁছে গিয়েছেন আইএফএ-এর সভাপতি অজিত ব্যানার্জি, সচিব অনির্বান দত্ত সহ অন্যান্য পদাধিকারীরা। আজ,চাঁদমানি মাঠে প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী ম্যাচেও আইএফএ কর্তারা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মেয়র গৌতম দেব, শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের সচিব কুন্তল গোস্বামী সহ এক ঝাঁক কর্তারাও। মেয়র গৌতম দেব বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন,”এই টুর্নামেন্টকে স্বাগত জানাই। আমাদের পক্ষ্য থেকে সবরকম ভাবে সহায়তা করব।”
আইএফএ সভাপতি অজিত ব্যানার্জি বলেন,”বাংলার ফুটবল থেকে প্রতিভা তুলে আনার জন্য জেলার বয়স ভিত্তিক টুর্নামেন্ট করা খুব জরুরি। অনূর্ধ্ব-১২ ও অনূর্ধ্ব-১৭ আন্তঃজেলা ফুটবল টুর্নামেন্টের জন্য রাজ্য সরকার আর্থিক ভাবে আইএফএ-এর পাশে দাঁড়িয়েছে। ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সক্রিয়ভাবে পাশে আছেন। জেলার এই দুই বয়স ভিত্তিক টুর্নামেন্ট থেকে প্রতিভাবান ফুটবলার তুলে আনা হবে।” আইএফএ সচিব অনির্বান দত্তর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,”জেলার ফুটবলের উন্নয়ন না ঘটলে বাংলার ফুটবল এগোবে না। মুখ্যমন্ত্রী ও ক্রীড়ামন্ত্রীও চান জেলার ফুটবলের উন্নয়ন। আমরা সেই উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে সবাইকে নিয়ে এগিয়েছি।”