এটিকে মোহনবাগান – ৩ (রয় কৃষ্ণা,মনবীর,লিস্টন কোলাসো)
এস সি ইস্টবেঙ্গল – ০
ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : ম্যাচের প্রথমার্ধের ২২ মিনিটেই এটিকে মোহনবাগান ৩-০ গোলে এগিয়ে। কৃষ্ণা,বুমোস,লিস্টনরা তখন বল নিয়ে তীব্র আক্রমণাত্মক। দিশাহারা এসসি ইস্টবেঙ্গল। মশাল তখনই নিভে গিয়েছিল। সেই সময় পাঁচ গোলে হারার আশঙ্কা চেপে বসেছিল লাল-হলুদ সমর্থকদের। স্নায়ুর চাপে রিজার্ভ বেঞ্চ থেকে উঠতেই পারছিলেন না লাল-হলুদ কোচ দিয়াজ। দ্বিতীয়ার্ধে হাবাস তাঁর দলকে রক্ষনাত্মক না খেলালে হয়তো পাঁচ গোলের মধুর প্রতিশোধ ২৭ নভেম্বরই নিয়ে ফেলতে পারতো সবুজ-মেরুন শিবির। শেষ পযর্ন্ত এসসি ইস্টবেঙ্গলকে ৩-০ গোলে হারাল এটিকে মোহনবাগান।
আইএসএলে এখনও পযর্ন্ত তিনবার ডার্বি ম্যাচে মুখোমুখি হল এটিকে মোহনবাগান-এস সি ইস্টবেঙ্গল। তিনবারই জিতল এটিকে মোহনবাগান। আর এই তিনটি ম্যাচেই গোল করলেন ফিজি স্ট্রাইকার রয় কূষ্ণা। মোহনবাগান এমন এক বিদেশি ফুটবলার পেয়ে যায় যিনি একাই দলকে ভরসা দেন, জয় এনে দেন। অতীতে চিমা ওকোরি, ব্যারেটো,সনি নর্ডির পর এখন রয় কৃষ্ণাই হলেন বাগানের পরিত্রতা।
রয় কৃষ্ণা
৩-৫-২ ফর্ম্যাটে দল সাজিয়ে সবুজ-মেরুনকে রুখে দেওয়ার ছক কষেছিলেন ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ কোচ দিয়াজ। ১২ মিনিটে দুরন্ত ভলিতে গোল করলেন রয় কৃষ্ণা। প্রথম গোলষহজম হতে না হতেই , ১৪ ও ২২ মিনিটে যথাক্রমে রয় কৃষ্ণা, মনবীর সিং, লিস্টন কোলাসোর গোলে এগিয়ে যায় সবুজ-মেরুন। দ্বিতীয়ার্ধেও সেই চাপ বজায় রেখেছিলেন কৃষ্ণারা। কিন্তু কাছা খুলে আক্রমণে উঠে যায়নি মোহনগানান ৷ বরং একটু স্লো খেলে মোনবাগান শিবির পাঁচ গোল খাওয়ার সুযোগ নষ্ট করলেন।
৩৩ মিনিটের মাথায় চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন লাল-হলুদ গোলকিপার অরিন্দম ভট্টাচার্য । তার আগেই কার্যত ইস্টবেঙ্গলের কফিনে পরপর পেরেক পুঁতে দিয়েছে কৃষ্ণা, কোলাসোরা ৷ ম্যাচের সেরা জনি কাউকো ৷
২৩ মিনিট মাঠে থেকে ৩ গোল খেলেন অরিন্দম। রয় কৃষ্ণর গোলের সময় কিছুই করার ছিল না তাঁর। দুরন্ত শটে অরিন্দম কিছু বুঝে ওঠার আগেই বল জালে জড়িয়ে দিয়েছিলেন কৃষ্ণ। কিন্তু মনবীর সিংহের গোলের সময় প্রথম পোস্টে অরিন্দম দাঁড়িয়ে থাকা সত্ত্বেও সেখান থেকেই গোল খেল ইস্টবেঙ্গল। শরীর ছুঁড়েও নাগাল পেলেন না মনবীরের শটের।
কিন্তু মনবীর সিংহের গোলের সময় প্রথম পোস্টে অরিন্দম দাঁড়িয়ে থাকা সত্ত্বেও সেখান থেকেই গোল খেল ইস্টবেঙ্গল। শরীর ছুঁড়েও নাগাল পেলেন না মনবীরের শটের।
তৃতীয় গোলের দায় নিতেই হবে অরিন্দমকে। হুগো বুমোসের লম্বা থ্রু যখন লিস্টন কোলাসো ধরলেন, তাঁকে আটকাতে গোল ছেড়ে উঠে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু বলের নাগালই পেলেন না। অরক্ষিত গোলে বল ঠেললেন কোলাসো। অরিন্দমই সহজ করে দিলেন কোলাসোর কাজ। সেই সঙ্গে বাড়িয়ে দিলেন ইস্টবেঙ্গলের চিন্তা।কোলাসোর পা থেকে বল কাড়তে গিয়ে চোট পান অরিন্দম। বড় ম্যাচে ২৩ মিনিটের মাথায় প্রধান প্রহরীকে হারাল লাল-হলুদ। তাঁর বদলে মাঠে নামলেন শুভম সেন। শুভম সেন। একটা ভালো দিক, ভাল যে তাঁকে কোনও গোল হজম করতে হয়নি তা নিজের ও ক্লাবের কর্তাদের
মশাল যেখানে আলোহীন সেখানে বাগানে ফুল ফোঁটালেন জনি কাউকো, লিস্টন কোলাসোরা। ভাস্কোর তিলক ময়দানে এসি ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে চনমনে সবুজ-মেরুন। অন্যদিকে হতাশ লাল-হলুদ শিবির।