লড়াই শেষ, প্রয়াত প্রাক্তন ফুটবলার প্রশান্ত ডোরা

0

ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন, কলকাতা,২৬ জানুয়ারি : সব লড়াই শেষ। গত আড়াই মাস ধরে জীবন যুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হল না। আজ, মঙ্গলবার প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনে কলকাতার টাটা মেমোরিয়াল রিসার্চ সেন্টার হাসপাতালে দুপুর ১:৪০ মিনিটে শেষ নিশ্বাস ত‍্যাগ করেন ভারতের প্রাক্তন গোলরক্ষক প্রশান্ত ডোরা। মৃত‍্যুকালে বয়স হয়েছিল ৪৩ বছর। তিনি রেখে গেলেন স্ত্রী সৌমি ও একমাত্র পুত্রকে।

গত আড়াই মাস আগে জ্বরে ভুগছিলেন মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল, মহমেডানে খেলা প্রশান্ত। কিন্তু জ্বর না কমায় তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে আমরিতেও ভর্তি করা হয়। কিন্তু প্রাথমিক অবস্থায় রোগটা ঠিক কি তা কোনও ডাক্তার ধরতে পারেনি। পরে দেখা যায় প্রশান্ত জটিল HLH (হেমোফাগোসিটিসি লিম্ফ হিস্টিওসাইটোসিস) রোগে আক্রান্ত। প্রশান্তকে ভর্তি করা হয় কলকাতার টাটা মেমোরিয়াল রিসার্চ সেন্টার হাসপাতালে। গত মাস থেকেই সঙ্কটজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। প্রচুর পরিমানে O+ রক্তের প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। কলকাতা ক্রীড়া জগতের ব‍্যক্তিত্ব থেকে তাঁর পরিচিতরা রক্তও দিয়ে আসছিল। গত সপ্তাহে প্রশান্তর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।

উল্লেখ্য, বিখ‍্যাত গোলরক্ষক হেমন্ত ডোরার ভাই প্রশান্ত বাংলার হয়ে সন্তোষ ট্রফি খেলেছেন। মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল, মহমেডান হয়ে জেসিটিতেও সুনামের সঙ্গে খেলেছেন। ১৯৯৯ সালে প্রথম ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিলেন প্রশান্ত। প্রি-অলিম্পিক কোয়ালিফাইং-এর ম‍্যাচে থাইল‍্যান্ডের বিরুদ্ধে তাঁর অভিষেক হয়। পরবর্তীকালে সাফ কাপ, সাফ গেমসেও দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন। খেলতে খেলতে প্রশান্ত রিজার্ভ ব‍্যাঙ্কে চাকরি পান। খেলা ছাড়ার পর ছোটদের নিয়েও কাজ করতে দেখা যায়। গত মাসে প্রশান্তর স্ত্রী সৌমি ‘ইনসাইড স্পোর্টস’-কে বলেছিলেন, “বাইপাসের ধারে মেট্রোর কাছে একটা নতুন ফ্ল‍্যাট কিনেছিলেন তাঁরা। কিন্তু প্রশান্তর আপত্তিতে করোনায় বিশাক্ত ২০২০ সালে নতুন ফ্ল‍্যাটে ঢুকতে চাননি। বলেছিলেন ২০২১ সালের প্রথম দিকে নতুন ফ্ল‍্যাটে সিফট করবেন। প্রশান্তর আর নতুন ফ্ল‍্যাটে আর যাওয়া হল না। অকালেই চলে গেলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here