ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন,১১ জুলাই : যেন এই দিনটার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন ওঁরা। ফুটবলার, রেফারি,ক্লাব কর্তা থেকে মাউন্টেন্ট পুলিশ, চা,ছোলা,প্যাটিস বিক্রেতা এবং অবশ্যই ফুটবল দর্শক। গত দুই বছরের খরা কাটিয়ে ফুটবল এসে যেন গড়ের মাঠ প্রাণ ফিরে পেল। সেই চেনা ছবি,চেনা আবেগ,চেনা চেনা ফুটবল উন্মাদনা।
সোমবার পঞ্চম ডিভিশনের ‘এ’ ও ‘বি’ গ্রুপের ৬ টি ম্যাচ দিয়ে দুই বছর পর কলকাতা ফুটবল লিগ শুরু হল। আর সেই ফুটবল লিগের ম্যাচ দেখতে গড়ের মাঠে মানুষের ঢল।
টাউন ও তার পাশের ওয়াইএমসিএ-এর মাঠে মানুষের ঢল। যেহেতু এবছর বয়স ভিত্তিক লিগ সেই কারণে অনেক ফুটবলারের মায়েরাও মাঠে এসেছেন,যা বাংলার ফুটবলে ভাল বিজ্ঞাপন। তাঁরাও ফুটবলে বুঁদ হয়ে থাকলেন। দেখা গেল তারা একবারই টেনশনে পড়লেন যখন টাউন মাঠে সারদা চরণের এক ফুটবলারের নাক ফাটল। সঙ্গে সঙ্গে আইএফএ-এর অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সারদার চোট পাওয়া ফুটবলারকে। পরে জানা যায় ফুটবলারটির নাকে সেলাই হয়েছে। তবে বিপদ মুক্ত।
এদিন লিগের শুরুতেই দু-দুটি লাল কার্ড দেখেছে বাগমারির রাজেশ বিশ্বাস (বি গ্রুপ) এবং ইন্ডিয়া ক্লাবের (‘এ’ গ্রুপ) সঞ্জয় মন্ডল। দুজনেই দুটি করে হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়েছে।
পঞ্চম ডিভিশনের ‘বি’ গ্রুপের খেলায় পেয়ারাবাগান ১-০ গোলে হারায় আড়িয়াদহকে। অপর খেলায় বাগমারি ২-০ গোলে হারায় কারবালাকে। ‘এ’গ্রুপের খেলায় সারদাচরণ এসি ২-১ গোলে হারায় ক্যালকাটা এসিকে। বেঙ্গল স্পোর্টিং ও ওল্ড ফ্রেন্ডস ইউনিয়ন ম্যাচ গোল শূন্যভাবে শেষ হয়েছে। ক্যালকাটা রেঞ্জার্স ২-০ গোলে হারাল বরানগর শিবশঙ্করকে। ফ্রেন্ডস ইউনিয়নের বিরুদ্ধে ইন্ডিয়া ক্লাব জিতল ১-০ গোলে।
এদিন লিগের শুরুটা কেমন হল তা দেখতে বিভিন্ন মাঠ পরিদর্শন করলেন আইএফএ চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত, সচিব অনির্বান দত্ত,সহসভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস,সহসচিব রাকেশ ঝাঁ,নজরুল ইসলাম,সুফল গিরি সহ এক ঝাঁক কর্তা।
লিগের ম্যাচ দেখতে অফিস থেকে আগেই চলে আসেন প্রাক্তন ফুটবলার সঞ্জয় মাঝি,রঞ্জন চৌধুরী, গৌতম ঘোষরা। এসেছিলেন একাধিক ক্লাব কর্তারাও। ‘এই দিনটার জন্যই অপেক্ষা করে ছিলাম। ফুটবল শুরু হল। খুব ভাল লাগছে।’ বলছিলেন প্রাক্তন স্ট্রাইকার সঞ্জয় মাঝি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এদিন পুরুষদের সঙ্গে মহিলা রেফারিরাও ম্যাচ পরিচালনা করেন।