‘
এসসি ইস্টবেঙ্গল – ৩
গোয়া এফসি – ৪
ইনসাইড স্পোটাসের প্রতিবেদন,৭ ডিসেম্বর : নামতে নামতে একেবার শেষে গিয়ে পৌঁছে গেল এসসি ইস্টবেঙ্গল। আপাতত। আইএসএলে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচ খেলতে নেমে জয় তো দুরের কথা, এসসি ইস্টবেঙ্গল এখন ‘লাস্ট বয়ে’-র কাছেও ৪ গোল খাচ্ছে। ভাবা যায়! এদিন ভাস্কোর মাঠে গোয়া এফসি ৪-৩ গোলে হারাল এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। এই হারের ফলে আইএসএলের লিগ তালিকায় একেবারে নিচে নেমে গেল লাল-হলুদ ব্রিগেড। যত ম্যাচ খেলছে ততোই যেন লজ্জা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হচ্ছে দিয়াজের দলকে।
এদিন ছিল দুই ‘লাস্ট বয়’-এর লড়াই। ইস্টবেঙ্গল ও গোয়া – দুটি দলই জয়ের মুখ দেখেনি। এই অবস্থায় জয়ের জন্য মুখিয়ে ছিল দুই দলই। দুটি দলই পাল্লা দিয়ে আক্রমণে উঠে গিয়েছে। আক্রমণাত্মক ফুটবল। আর সেই কারণেই এই ম্যাচের গোল সংখ্যা ৭টি। আর শেষ হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়ল গোয়া।
ম্যাচের ১৪ মিনিটে নগুয়েরার দুরপাল্লার সুইং মেশানো শটে পিছিয়ে পড়ে লাল-হলুদ। ধাক্কা সামলে ২৬ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলকে সমতায় ফেরান পেরোসোভিচ। বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শট এফসি গোয়ার গোলরক্ষক ধীরজ সিংকে পরাস্ত করে বল জালে পাঠান পেরোসেভিচ। ৩২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে এগিয়ে যায় গোয়া। যদিও গোয়া যে পেনাল্টি পেয়েছিল তা বিতর্কিত। ফাউলটা করা হয়েছিল টপ বক্সের ঠিক বাইরে। রেফারি পেনাল্টি দিলে তীব্র প্রতিবাদ করেন ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা। প্রতিবাদে কান দেননি রেফারি। পেনাল্টি থেকে গোল করেন জর্জ ওর্টিজ। পাঁচ মিনিটের মধ্যে ফের সমতায় লাল-হলুদ। এবার ডের্বিসেভিচের অসাধারণ ফ্রি-কিকে গোল। বিরতির ঠিক দুই মিনিট আগে পেরোসোভিচের আত্মঘাতী গোলে ফের এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় এফসি গোয়া।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে। ৫৯ মিনিটে পেরোসোভিচের একক কৃতিত্বের গোল এসসি ইস্টবেঙ্গলকে সমতায় ফেরায়। খেলার রাশও ছিল তাদের পায়ে। কিন্তু নিজেদের অতি জঘন্য ডিফেন্স বিপক্ষের আক্রমণ সামাল দিতে পারেনি। প্রতি-আক্রমণে উঠে গিয়ে নগুয়েরা জয়সূচক গোলটি করেন।