ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন,১৮ এপ্রিল : বাংলার রেজিস্ট্রার রেফারিদের যাতে বিমা করা যায় তার জন্য নিজে থেকেই উদ্যোগের কথা বললেন মন্ত্রী সুজিত বসু। আজ,সোমবার কলকাতা রেফারিজ সংস্থার প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে এসে রেফারিদের বিমা করার জন্য নেজেই প্রস্তাব দিলেন সুজিত বসু। তাঁর কথায়,”রেফারিদের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। একটা সময় কলকাতা লিগ খেলেছি। কোচ পটাদার ছাত্র ছিলাম। রেফারিদের সম্পর্কে আমি জানি। আপনারা যদি রেফারিদের বিমা করাতে চান তাহলে আমাকে জানাবেন। আমি ব্যবস্থা করে দেব।”
কলকাতা রেফারিজ সংস্থা (সিআরএ) এদিন ৯১ বছরে পা রাখল। খেলোয়াড়দের স্পোর্টস কোটায় চাকরি থাকলেও রেফারিদের কোনও স্পোর্টস কোটায় চাকরির ব্যবস্থা নেই। প্রাঞ্জলের মতো ফিফা রেফারি সরকারি চাকরি না পেয়ে একটি বেসরকারি স্কুলে ছোট্ট চাকরি পেয়েছেন। একজন রেফারি পেশা শেষ করার পর কোথায় যাবেন? পরিবার নিয়ে কি করবেন? এই পুরনো এই প্রশ্নটা তুলে রেফারিদের জন্য কিছু চাকরি অথবা কনট্রাকচুয়াল জব যাতে পায় তার জন্য মন্ত্রী সুজিত বসুর কাছে অনুরোধ করেন সিআরএ সচিব উদয়ন হালদার। অনুষ্ঠান থেকে বেরোনোর সময় উদয়নবাবুকে একটা তালিকা পাঠাতে বলেছেন মন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও রেফারিদের পাশে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
এদিন সিআরএ প্রতিষ্ঠা দিবসে লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট পুরস্কার দেওয়া হয় প্রাক্তন রেফারি ভোলানাথ দত্তকে। সুমন্ত ঘোষকেও লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট পুরস্কার দেওয়া হয়। তবে তিনি অসুস্থ থাকায় অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি। এবারের কন্যাশ্রী কাপে সেরা রেফারি হিসেবে জঙ্গল মহলের মাহি টুডুকে বিশেষ ভাবে পুরস্কৃতকরা হয়।
অন্যদিকে, পয়লা বৈশাখের দিনে সিআরএ তাঁবু শীততাপ নিয়ন্ত্রিতর ব্যবস্থা করে দিয়েছেন আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখার্জি ও সহ সচিব রাকেশ (মুন) ঝাঁ। তাঁরা মৃলত ব্যক্তিগত উদ্যোগেই রেফারি তাঁবু শীততাপ নিয়ন্ত্রিতের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। গত শুক্রবার, পয়লা বৈশাখে রেফারিদের শীততাপ নিয়ন্ত্রিত তাঁবুর উদ্বোধন করেন আইএফএ-এর চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখার্জি,সহ সচিব রাকেশ (মুন) ঝাঁ, নজরুল ইসলাম, সুফল গিরি ও বিধায়ক দেবাশিস কুমার।