ব্রাজিল ২ (রিচার্লিসন ২)
সার্বিয়া ০
ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : আর্জেন্টিনার হার। হেরে গেছে জার্ভানিও। কষ্টার্জিত জয় পর্তুগালের। বিশ্বকাপের আসরে সবাই যখন অঘটনের আশঙ্কায় আতঙ্কিত তখন সাম্বার ফুটবল বুঝিয়ে দিল তারা অন্যতম ফেবারিট হয়েই কাতারে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার রাতে সার্বিয়ার বিরুদ্ধে যেভাবে ৯০ মিনিট একই গতিতে খেলে গেল ব্রাজিল তা দেখে ফুটবল রসিকরা তৃপ্ত। রে রে করে আক্রমণে উঠছে। আবার নামছেও এক সঙ্গে। স্কিলের সঙ্গে গতিময় ফুটবল মুগ্ধ করল ফুটবল বিশ্বকে। হ্যাঁ, এই ব্রাজিলকেই চাই।
প্রথমার্ধে আক্রমণ করলেও পাল্টা আক্রমণে গিয়েছে সার্বিয়াও। তবে সব দিক দিয়ে এগিয়ে থাকলেও গোলটা পাচ্ছিল না ব্রাজিল। যেন মনে হয় বিপক্ষকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওআর কারণেই যেন কিছুটা গুটিয়ে ছিলেন নেইমাররা।
প্রথমার্ধে গোলশূন্য থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে পুরনো ব্রাজিল ফিরে এল। মুহর্মুহ আক্রমণের ঝাঁজে সার্বিয়ার তখন নাভিশ্বাস উঠে গেয়েছিল। তারুন্যে ভরা ব্রাজিল তখন ভয়ঙ্কর।
ম্যাচের ৬৩ মিনিটে বাঁদিক থেকে জোড়ালো শট নিয়েছিলেন এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম আকর্ষণ ভিনিসিয়াস। তাঁর শট সার্বিয়ার গোলকিপার ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঁচান বটে কিন্তু তার হাতে লেগে ফিরতি বলে প্লেস করে প্রথম গোলটি করে ব্রাজিলকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন রিচার্লিসন।
৭৪ মিনিটে রিচার্লিসনের সেই বিশ্বমানের গোল। এমন গোল দেখার জন্য রাতের পর রাত জাগা যায়। বাঁ দিক থেকে এগিয়ে গিয়ে বল ভাসিয়েছিলেন ভিনিসিয়াস। সেই বল ডান পা দিয়ে চমৎকার সাইডভলিতে বিশ্বমানের গোল করেন রিচার্লিসন। এখনও পযর্ন্ত এবারের বিশ্বকাপে এটাই সেরা গোল।
ব্রাজিল ২-০ গোলে জিতলেও এই স্কোর লাইন দেখে সাম্বা ফুটবলের ঝলকের গভীরতা বোঝা যাবে না। বুঝতে হলে দেখতে হবে ভিনিসিয়াস-রোনাল্ডো, রিচার্লিসনদের পাশিং ফুবলের জলছবি। প্রথম ম্যাচে তারা বুঝিয়ে দিয়েছেন ব্রাজিল তৈরি।