ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : খেলাধূলার জগতে যেভাবে রাজনৈতিক নেতাদের প্রবেশ ঘটছে তা মোটেও ভাল হচ্ছে না। বরং নেতাদের উপস্থিতি খেলাধূলা জগতের ক্ষতি হয়। তার থেকে প্রাক্তন খেলোয়াড়রা ক্রীড়া প্রশাসনে আসুক। এমনটাঈ দাবি করলেন ভারতের প্রাক্তন ফুটবলার প্রসূন ব্যানার্জি।
বুধবার কলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাবে ‘মিট দ্য প্রেসে’ এসে রাজনৈতিক নেতা মুক্ত ময়দানের ডাক দিলেন ‘অর্জুন’ পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রসূন। তিনি নিজে তৃণমূলের সাংসদ। তবু তিনি মনে করেন,যেভাবে ক্লাব,অ্যাসোসিয়েশনে নেতাদের প্রবেশ ঘটছে সেটা ঠিক হচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, মোহনবাগানের নব্য নির্বাচিত কার্যকরী কমিটিতে যাঁরা রয়েছেন তাঁদের অনেকেই রাজ্যের শাসক দলের সঙ্গে যুক্ত ৷ সহ-সভাপতি হয়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এবং রাজ্যের দুই মন্ত্রী মলয় ঘটক ও অরূপ রায়। বলা হচ্ছে, নেপথ্যে এই শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ যা দেখে দলের সমর্থকদের মধ্যেই ক্ষোভ শুরু হয়েছে। মোহনবাগান ক্লাবের সভাপতি এখনও পর্যন্ত ঠিক করা যায়নি । যা মেনে নিতে পারছেন না সাংসদ ফুটবলার । “মোহনবাগান ক্লাবের প্রতি টুটু বসুর অবদান অস্বীকার করা যাবে না । সৃঞ্জয়কে সরিয়ে দিল নাকি চলে গেল জানি না। তবে ও দায়িত্ব থাকাকালীন ভাল কাজ করেছে। ওর চলে যাওয়াটা ভাল হয়নি । মোহনবাগানের সভাপতি হিসেবে সুব্রত ভট্টাচার্য যোগ্য ব্যক্তি। ওকে অবিলম্বে দায়িত্ব দেওয়া উচিত,” বলছেন প্রসূন ।
একই সঙ্গে তিনি যোগ করেন, সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের পদাধিকারীদের অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিৎ। তার পরিবর্তে সুব্রত ভট্টাচার্য, শ্যাম থাপাদের মতো প্রাক্তনদের হাতে দায়িত্ব দেওয়া উচিত ।
প্রসূন বলেন, “সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় যদি বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট হতে পারেন তাহলে দেশের খ্যাতনামা ফুটবলাররা কেন ফেডারেশন চালাতে পারবেন না ৷ সুব্রত ভট্টাচার্য, শ্যাম থাপা সহ অনেকপ্রাক্তন আছে। তাঁদের দায়িত্ব দেওয়া হোক। আমাকে দায়িত্ব দিতে হবে না। দিলেও নেব না। কারণ আমি এখন সাংসদ। সক্রিয়ভাবে তৃণমূল করছি। ফেডারেশনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট প্রফুল প্যাটেল কিছুই করছেন না। তাই তাঁর দায়িত্ব ছেড়ে চলে যাওয়াই ফুটবলের পক্ষে ভাল হবে ।” প্রসঙ্গত, ফুটবল ফেডারেশনের প্রশাসনিক অস্থিরতা সংবাদ মাধ্যমের সামনে আসতে শুরু করেছে । ঠিক সেই সময় এমন মন্তব্য করলেন প্রসূন।