◆সংক্ষিপ্ত স্কোর◆
◆বাংলা – ১৭৪ ও ১৬৯/৪ (অনুষ্টুপ – ৬১, মনোজ – ৫৭, শাহবাজ – ১৩ )
◆সৌরাষ্ট্র (প্রথম ইনিংস ) – ৪০৪ (ভাসাভাড়া – ৮১,চিরাগ জানি – ৬০ মুকেশ – ৪/১১১, আকাশদীপ – ৩/১১১, ইশান – ৩/86)
ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন,১৮ ফেব্রুয়ারি : রনজি ফাইনালে বাংলার কপাল পুড়তে চলেছে তার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল ম্যাচের প্রথম দিনেই। তৃতীয় দিনের শেষে সেটা আরও প্রকট হয়ে দাঁড়িয়েছে। সৌরাষ্ট্রের প্রথম ইনিংসের ৪০৪ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বাংলা খাদের কিনারায়। তৃতীয় দিনের শেষে বাংলা ৪ উইকেটে ১৬৯ রান করেছে। পিছিয়ে আছে ৬১ রানে। পরিস্থিতি যা তৈরি হয়েছে তাতে বাংলার সামনে এখন ইনিংস হারের ভ্রুকুটি।

এদিন, তৃতীয় দিনের শুরুটা চমৎকার করেছিলেন মুকেশ, আকাশদীপ, ইশানরা। লাঞ্চের আগেই সৌরাষ্ট্রের বাকি পাঁচটি উইকেট নিয়ে অল আউট করে দেয় বাংলা। কিন্তু তাতেও খুব লাভ হয়নি মনোজদের। প্রথম ইনিংসে ৪০৪ রান করার সুবাদে সৌরাষ্ট্র এগিয়ে থাকে ২৩০ রানে। যা বাংলার কাছে বিরাট চাপের।

ম্যাচ জিততে হলে ২৩০ রান কভার করে আরও ৩০০ রান করলে তবে একটা পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়া যায়। এই অবস্থায় বাংলা দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে প্রথমেই চাপে পড়ে যায়। মাত্র আট বল খেলে ১ রানে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান ওপেনার সুমন্ত গুপ্ত। প্রথম ইনিংসে ও তিনি ব্যর্থ হয়েছিলেন। তিন বল খেলে করেছিলেন ১ রান। প্রসঙ্গত, এবারের এই রনজি ফাইনালেই সুমন্ত গুপ্তর অভিষেক হয়। প্রশ্ন উঠছে কে এই সুমন্ত গুপ্ত? কি তাঁর সাফল্য আছে যে ফাইনাল ম্যাচেই তাঁকে দলে নেওয়া হল? এবার ওপেনার সমস্যা ভুগিয়েছে বাংলাকে। নতুন মুখ সেই ভাবে সাফল্য পায়নি। তবু সেমিফাইনালে করণ লাল কিছুটা লড়াই চেষ্টা করেছিল। তাঁকে না নিয়ে হঠাৎ নতুন মুখ সুমন্ত গুপ্ত কেন? কেনইবা আকাশ ঘটক ফাইনালে দলে? ফাইনালের দল গঠন নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

সুমন্ত গুপ্তর পর প্যাভিলিয়নে ফিরে যান অভিমন্যু ইশ্বরণ (১৬), সুদীপ ঘরামি (১৪)। তারপরেই সৌরাষ্ট্রকে সামলে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার দুরন্ত লড়াই শুরু করেন অনুষ্টুপ মজুমদার ও অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। এই জুটিতে উঠল ৯৯ রান। কিন্তু ক্রিজে জমে গিয়েও ফিরলেন অনুষ্টুপ। উনাদকটের করা অফস্টাম্পের বাইরের বলে খোঁজা দিয়ে অনুষ্টুপ (৬১) বিশ্বরাজ জাডেজার হাতে ধরা পড়লেন। দিনের শেষে বাংলা ১৬৯/৪। মনোজ ৫৭ রানে অপরাজিত। তাঁর সঙ্গে ক্রিজে আছেন শাহবাজ (১৩)। বাংলা এখনও পিছিয়ে আছে ৬১ রানে। আগামীকাল, চতুর্থ দিনে কি সারাদিন ব্যাট করতে পারবেন বাংলার ব্যাটাররা? নাকি সকালের প্রথম দুই ঘন্টায় ফের আঘাত হানবে সৌরাষ্ট্র? নাকি মনোজরা বড় রানের ইনিংস খেলে দেবেন? খুব কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে পড়ে গিয়েছে বাংলা।