◆সংক্ষিপ্ত স্কোর◆
◆বাংলা (প্রথম ইনিংস ) – ১৭৪
◆সৌরাষ্ট্র (প্রথম ইনিংস ) – ৩১৭/৫
(অর্পিত ভাসাভাড়া – ৮১, চিরাগ জানি – ৫৭, সেলডেন জ্যাকশন – ৫৯, হারবিক দেশাই – ৫০, মুকেশ – ২/৮৩,ইশান পোড়েল – ২/৭২)
(দ্বিতীয় দিনের শেষে সৌরাষ্ট্র ১৪৩ রানে এগিয়ে)
ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন,১৭ ফেব্রুয়ারি : রনজি ট্রফির ফাইনালের প্রথম দুই দিনে ব্যাটিং,বোলিং এবং ফিল্ডিং – এই তিনটি বিভাগেই ব্যর্থ বাংলা। যার ফলে এবারের রনজি ট্রফি খেতাবের খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছে সৌরাষ্ট্র। বড় ধরনের অঘটন না ঘটলে সৌরাষ্ট্র দলের কাছে এবারের রনজি চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা শুধু সময়ের অপেক্ষা।
প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়ের ফলে বাংলা কোনও রকমে ১৭৪ রান করতে পেরেছিল। জবাবে সৌরাষ্ট্র ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় দিনের শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩১৭ রান করেছে। বাংলা দলের থেকে এদিন পযর্ন্ত সৌরাষ্ট্র এগিয়ে আছে ১৪৩ রানে।
ভাবা গিয়েছিল, পিচে ঘাস আছে তাই বাংলার জোরে বোলার মুকেশ,আকাশদীপ, ইশান পোড়েলরা বল হাতে ‘আগুন’ জ্বালাবেন। কিন্তু কোথায় ‘আগুন’? সিএবি কর্তাদের দাবি অনুযায়ী ‘ভারত সেরা বাংলার বোলিং বিভাগ’-কে কার্যত ক্লাব স্তরে নামিয়ে আনলেন সেলডন, হারবিক, ভাসাভাড়া, চিরাগরা। প্রথম দিনের শেষ দিকে বাংলা দুটি উইকেট নিয়েছিল। আর আজ, দ্বিতীয় দিনে মাত্র তিনটি উইকেট নিতে সক্ষম হয়েছেন মুকেশ, ইশানরা। মোক্ষম সময়ে আর কবে জ্বলে উঠবেন বাংলার বোলাররা?
ব্যাটিং, বোলিং ব্যথর্তার মতোই বাংলার ফিল্ডিংও ছিল দুর্বল। ক্যাচ নষ্ট, বাই রান দেওয়া থেকে শ্লথ ফিল্ডিংও চোখে পড়েছে। সব মিলিয়ে সব বিভাগেই বাংলাকে ছাপিয়ে গিয়েছে সৌরাষ্ট্র। এদিন ম্যাচে হারবিক দেশাই (৫০),সেলডন জ্যাকশন (৫৯), অর্পিত ভাসাভাড়া (অপরাজিত ৮১), চিরাগ জানি (অপরাজিত ৫৭) সৌরাষ্ট্রকে চালকের আসনে নিয়ে গিয়েছেন। ভাসাভাড়া ও চিরাগের পার্টনারশিপে ওঠে ১১৩ রান। মুকেশ, ইশান দুটি করে এবং আকাশদীপ একটি উইকেট নিয়েছেন। এখনও ম্যাচের তিনদিন বাকি আছে। কিন্তু ইডেনের পিচ অনেকটাই ব্যাটিং সহায়ক হয়ে উঠেছে। পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে তাতে বাংলার ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানো খুব কঠিন। যদিও ম্যাচ শেষে বাংলা কোচ লক্ষ্মী বলে গেলেন, “এখনও ম্যাচ তিন দিন বাকি আছে। আশাকরি কাল ম্যাচে ফিরে আসতে পারবো।”