ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন,১৬ মার্চ : বাংলাদেশের শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের সঙ্গে যৌথভাবে ফুটবল নিয়ে কাজ করবে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। বুধবার ঢাকায় বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি ও শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের চেয়ারম্যান সায়েম সোবহান আনভীরের সঙ্গে বৈঠক করলেন ইস্টবেঙ্গলের কর্তা দেবব্রত সরকার, সৈকত গাঙ্গুলিরা। এই বৈঠক ঘিরে আগ্রহ ছিল লাল-হলুদ জনতার মধ্যে। আগামী মরসুমে বাংলাদেশের “বসুন্ধরা” ইস্টবেঙ্গলকে ইনভেস্ট করবে নাকি কো-স্পনসর হবে? এদিন বৈঠকের শেষে ইস্টবেঙ্গলের কাছে “বসুন্ধরা” ইনভেস্টর নাকি স্পনসর হিসেবে যুক্ত হচ্ছে? এই প্রশ্নর উত্তর বৈঠকের শেষে পাওয়া যায়নি। বৈঠক শেষে বাংলাদেশে যাওয়া ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কর্তারা এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র ও ইস্টবেঙ্গল কর্তারা ফুটবলের উন্নয়ন নিয়ে যৌথ ভাবে কাজ করবে বলে স্থির হয়েছে ওই বৈঠকে। ফুটবল পরিকাঠামোর উন্নতি এবং নতুন প্রতিভা খুঁজে আনাটাই লক্ষ্য তাঁদের। যৌথভাবে কাজ করে ফুটবলের সার্বিক উন্নয়নই তাঁদের লক্ষ্য।
আসন্ন মরসুমে “বসুন্ধরা”-র বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা অবশ্যই হয়েছে। কিন্তু সেই আলোচনা প্রকাশ্যে আনছেন না কোনও পক্ষই। কারণ, আগামী মরশুমে ইস্টবেঙ্গলের বর্তমান বিনিয়োগকারী সংস্থা শ্রী সিমেন্ট এখনও বিচ্ছেদের কথা বলেনি। বরং হরিমোহন বাঙ্গুর সম্প্রতি এক বিবৃতিতে ধোঁয়াসা তৈরি করেছেন। হরিমোহন বাঙুর বলেছেন,তারা ইস্টবেঙ্গলে থাকতে চায়। কিন্তু কয়েকটা ক্লজ ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
ইস্টবেঙ্গল কর্তারাও বিচ্ছেদ নিয়ে প্রকাশ্যে কিছুই বলছেন না। তাঁরা চায়ছেন, কিছু বলার আগেই শ্রীসিমেন্ট চলে যাক। পাশাপাশি শ্রীসিমেন্ট কর্তৃপক্ষও কিছু বলছে না। শ্রীসিমেন্ট বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা না করা পযর্ন্ত বাংলাদেশের “বসুন্ধরা”-র ইনভেস্ট করা নিয়ে আগাম কিছু ঘোষণা বা কোনও মন্তব্য করতে নারাজ উভয় দলের কর্তারা। একই সঙ্গেই ইস্টবেঙ্গল আইএসএলে খেলবে নাকি আই লিগে খেলবে? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে আরও কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে হবে।