ময়দানে ফের নঈমুদ্দিনের ছায়া!ক্রিকেটারদের উপর কার্যত ফতোয়া জারি কোচ লক্ষ্মীর

0

ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : বহু বছর পর কলকাতা ময়দানে ফের ফুটবল কোচ নঈমুদ্দিনের ছায়া। একটা সময় ফুটবলারদের লাইফ স্টাইলে কড়া বিধি নিষেধ প্রয়োগ করতেন নঈম। লম্বা চুল রাখা যাবে না,হেডব‍্যান্ড,রিস্ট ব‍্যান্ড পড়া যাবে না, অনুশীলনে এসে গ্রুপ করে গল্প করা যাবে না ইত‍্যাদি ইত‍্যাদি। দলে কড়া ডিসিপ্লিন মানতে হবে। শৃঙ্খলাপরায়ন কোচ ছিলেন কোচ নঈম। ফুটবলারদের উপর তাঁর এই ফতোয়া জারির কারণে ফুটবলারদের মধ‍্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল। নঈমের পর কোচ মনোজিৎ দাসও লম্বা চুল রাখার বিরোধী।

এবার বাংলার অনূর্ধ্ব-২৩ দলেও নঈমের মতোই ক্রিকেটারদের উপর কার্যত ফতোয়া জারি করে বসলেন নতুন কোচ হওয়া লক্ষ্মীরতন শুক্লা। বাংলা দলের প্রাক্তন এই অধিনায়ক কোচ হয়ে এসেই জানিয়ে দিয়েছেন, দলের ক্রিকেটাররা লম্বা চুল রাখতে পারবেন না। খুব বেশি ফেসবুক করতে পারবেন না। সোসাল মিডিয়ায় কোনও কিছু পোষ্ট করা যাবে না। আর বাংলায় কথা বলতে হবে। ফুটবল কোচ মনোজিত দাস কিছুদিন আগেই এই প্রতিবেদককে বলছিলেন,”অনূর্ধ্ব-১৫ বছর পযর্ন্ত ছেলেদের ডিসিপ্লিনের মধ‍্যে রাখাটা খুব জরুরি। ১৭/১৮ বছর হয়ে গেলে তখন ছেলেদের স্বাধীনতা দেওয়া উচিত। কিন্তু ১৫ বছর বয়সের ছেলেদের নয়। ওদের এই বয়সটা শেখার সময়। শৃঙ্খলা থাকাটা জরুরি।”

অনূর্ধ্ব-২৩ দলের প্রস্তুতির প্রথম দিনই ক্রিকেটারদের বুঝিয়ে দিয়েছেন কোচ লক্ষ্মী। সব দেখনদারি বিসর্জন দিতে হবে। ফোকাস থাকবে শুধুমাত্র ক্রিকেটে। জীবনকে শৃঙ্খলায় বাঁধতে হবে। লক্ষ্মী রতন শুক্লা সংবাদ মাধ‍্যমকে বলেছেন,”এটা মোটেও ফতোয়া জারি করা নয়। আগে বাংলার হয়ে সত্তর-আশিটা ম্যাচ খেলো। বাংলাকে ট্রফি জেতাও। রনজি জেতাও। তারপর যা ফ্যাশন করার করবে। এখন শেখো, পরে ফ‍্যাসন। দলে বাংলায় কথা বলতে হবে। জানা যায়, এখন সিএবির বিভিন্ন বয়স ভিত্তিক দলে বাঙালির সংখ‍্যা কমে আসছে। সবাই নাকি হিন্দিতেই বেশি কথা বলে। দলে বাংলার সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনার ছোট্ট প্রচেষ্টা লক্ষ্মীর।

এই বিষয়ে লক্ষ্মীর ব‍্যাখ‍্যা, “আপনি যে রাজ্যের হয়ে খেলবেন, সেই রাজ্যের সংস্কৃতি, আবেগকে বুঝতে হবে। আমি সেই কারণেই সবাইকে বলেছি বাংলার কথা বলার চেষ্টা করো।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here