ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : বাংলা সিনিয়র ও অনূর্ধ্ব-২৩ দলের ম্যাচ পিছনোর আবেদন করে বোর্ড সচিব জয় শাহকে চিঠি দিল সিএবি। ঘুর্ণিঝড় ‘দানা’ ও প্রবল বর্ষণের পূর্বাভাস আছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যে সতর্কতা জারি করেছে। এই অবস্থায় নির্ধারিত ২৬ ও ২৭ অক্টোবরের ম্যাচ পিছিয়ে দেওয়া হোক। চিঠি দিয়ে এমনটাই বিসিসিআইয়ের কাছে আবেদন করল সিএবি। এই প্রতিবেদন লেখা পযর্ন্ত বিসিসিআই-এর তরফ থেকে কোনও উত্তর আসার খবর পাওয়া যায়নি। তবে আশা করা যাচ্ছে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পূর্বাভাসকে মাথায় রেখে সিএবির দাবি মেনে নিতে পারে।
প্রসঙ্গত, আগামী ২৬ অক্টোবর যাদবপুর ইউনিভার্সিটির মাঠে রনজি ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলা ও কেরল। আর ২৭ অক্টোবর কল্যাণীতে মুখোমুখি হবে অনূর্ধ্ব-২৩ বাংলা -রেলওয়ে দল। এই দুটি ম্যাচ পিছনোর আবেদন করেছে সিএবি।
এদিকে, কল্যাণীর মাঠে রনজি ম্যাচ (বাংলা-বিহার) না হওয়ায় ভারতীয় ক্রিকেট মহলে CAB এর মুখ পুড়েছে। এবার আর সেই ভুল করতে চান না কর্তারা। কল্যাণীর ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার যাদবপুর ইউনিভার্সিটির মাঠ (সল্টলেক) কভারের ব্যবস্থা করে ফেলেছেন CAB কর্তারা। ম্যাচ পিছনোর আবেদনের উত্তর যাই আসুক না কেন, যাদবপুর মাঠ ঢেকে রেখেছেন সিএবির কর্তারা। গতকাল বিকেলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল শনিবারের বাংলা – কেরল রনজি ম্যাচ কল্যাণী থেকে যাদবপুর ইউনিভার্সিটির মাঠে হবে। তারপরেই সন্ধ্যার পর যাদবপুর মাঠের পুরোটায় ঢেকে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে ঘুর্ণিঝড় ‘ডানা’ আছড়ে পড়ার পূর্বাভাস আছে। তার আগে শুরু হবে বৃষ্টি। কাজেই CAB কর্তারা আর কোনও ঝুঁকি না নিয়ে মঙ্গলবার থেকেই যাদবপুরের পুরো মাঠ ঢাকার ব্যবস্থা করে ফেলেছেন। কিন্তু ঘুর্ণিঝড় ও প্রবল বৃষ্টির যা পূর্বাভাস তাতে বাংলা -কেরল ম্যাচ চারদিন হবে কিনা এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। পরিবর্তিত পরিস্থিতে লক্ষ্মীদের ম্যাচ ভাগ্য নির্ভর করছে আবহাওয়ার উপর। আর সেই আশঙ্কার কারণেই বুধবার বিকেলে ম্যাচ পিছনোর আবেদন করলেন সিএবি কর্তারা।
