ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন, কলকাতা,১৩ ফেব্রুয়ারি : ক্লাব তাঁবুর ভিতরে যখন সাধারণ বার্ষিক সভা শুরু হয়েছে তার আগেই হাতে ফেস্টুন নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন মোহনবাগানের বেশ কিছু সমর্থক। তাদের দাবি গুলি হল এই রকম-১) মোহনবাগানের আগে এটিকে শব্দটি বাদ দিতে হবে। ২) আরপিএসজির সঙ্গে তারা চুক্তি ভঙ্গ করতে চায় না। তারা চায় আইএসএলে মোহনবাগানের ব্র্যান্ডকে গুরুত্ব দেওয়া হোক। ৩) আইএসএলের ম্যাচের আগে পরে ধারাভাষ্যকার থেকে বিদেশের সাংবাদিকরা ‘এটিকে’ ব্যবহার করেন। এভনকি মোহনবাগান ক্লাবের সচিব সৃঞ্জয় বসুর দৈনিক সংবাদ পত্রেও কখনও কখনও শুধু এটিকে লেখা হচ্ছে। কর্তাদের উচিৎ শীঘ্রই এই সমস্যা দুর করা। মোহনবাগান ক্লাব তাদের মায়ের সমান। মায়ের অপমান বরদাস্ত করবে না।
ক্লাবের সভার শেষ মুহূর্তে পৌঁছে বুড়ি ছোঁয়া দিয়ে ১০ মিনিট পর সভা ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন মোহনবাগানের ঘরের ছেলে সুব্রত ভট্টাচার্য। ক্লাব তাঁবু ছেড়ে বিক্ষোভকারীদের দুর থেকে দেখছিলেন। আপনি কি সমর্থকদের দাবিকে সমর্থন করছেন? প্রশ্ন শুনে সুব্রত ভট্টাচার্য বলে গেলেন, ” মোহনবাগান ক্লাবের ঐতিহ্যকে মর্যাদা দিতে হবে।” কথাগুলি বলেই গাড়িতে উঠে বেরিয়ে গেলেন সুব্রত।
সভার ভিতরেও তখন কয়েকজন এটিকে নাম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। জবাবে সেই সদস্যদের মোহনবাগান সচিব সৃঞ্জয় বসু সভায় বলে ওঠেন, “কারও ফাঁদে পা দেবেন না। বাইরে যারা এসব করছে তারা কার নির্দেশে করছে জানি না। আমরা যদি সবাই এমন বিভ্রান্ত হয়ে পড়ি তাহলে তো সমস্যা। ইনভেস্টর চলে গেলে আমরা কিন্তু আবার আগের জায়গায় ফিরে যাব। তখন কি হবে?”
পরে সাংবাদিক সম্মেলন করে সৃঞ্জয় বসু বলেন,”যারা বিক্ষোভ দেখালেন, তাঁরাও ক্লাবকে ভালবাসেন। আমরা সেটা বুঝতে পারছি। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করুন। বেঙ্গালুরুর মতো টিমও আর্থিক মন্দায় ভুগছে। বাংলার ফুটবলে এখন ভাল কোনও স্পনসর নেই। এটিকে চলে গেলে কি হবে? একটু বোঝার চেষ্টা করুন। আমরাও চাই না ক্লাবের কোনও অসম্মান হোক। যারা টাকা ঢালছে তাদেরও তো সম্মান প্রাপ্য। এটা বুঝতে হবে”
পুলিশ পাহারা দিয়ে ক্লাবের সাধারণ সভা করাটা কি ক্লাবের পক্ষে ভাল হল? জবাবে সৃঞ্জয় বসু বলেন,”আমি মনে করি,মোহনবাগানের কোনও সদস্য, সমর্থকরা বিশৃঙ্খলা করেন না। কিন্তু তবু আমরা পুলিশ রেখেছিলাম। কারণ, আমাদের বদনাম করতে কেউ যদি গন্ডগোল করে, এই ভাবনা থেকেই পুলিশ রাখা হয়েছিল।”
এদিন সাধারণ সভার শেষ মুহূর্তে অলিম্পিয়ান গুরবক্স সিংয়ের হাতে মোহনবাগান রত্ন পদক তুলে দেওয়া হয়। সভায় ঠিক হয় খুব শীঘ্রই অনলাইনের মধ্যে দিয়ে সদস্যদের কার্ড পুনর্নবিকরণ করা যাব। এছাড়াও ক্লাব তাঁবুর সংস্করণ করা হবে। বিখ্যাত আরকিটেক্ট আবিন চৌধুরী ক্লাব তাঁবুর কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন মোহনবাগান সচিব।