ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন: শুক্রবার মোহনবাগান ক্লাবের নতুন কর্মসমিতির এক বছর পূর্ণ করল। আর এই দিনেই ক্লাবের নতুন জিমনাসিয়ামের উদ্বোধন হয়ে গেল। কিংবদন্তি ফুটবলার ও কোচ প্রয়াত পি কে ব্যানার্জির নামেই মোহনবাগানে শুরু হল আধুনিক জিমনাসিয়াম। এমন এক জিমনাসিয়াম গড়ার জন্য মোহনবাগান ক্লাবের পাশে দাঁড়িয়েছে ডিভিসি।
শুক্রবার বিকেলে এই জিমনাসিয়াম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যেন চাঁদের হাট। বহুদিন পর ফের যেন ফিরে এলেন ভারতীয় ফুটবলের দুই সফল কোচ পিকে-অমল। পিকের নামে যেমন জিমনাসিয়াম উদ্বোধন হল, একই সঙ্গে মোহনবাগান ক্লাবের মাঠে প্রেস বক্স অমল দত্তর নামে নামকরণ করা হচ্ছে। এমনটাই জানিয়েছেন মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত। তবে এই প্রেস বক্স কিছুদিন পর উদ্বোধন করা হবে। এমন একটা দিনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিকে কন্যা পলা ব্যানার্জি ও অমল কন্যা নূপুর। অনুষ্ঠান মঞ্চে দুই প্রয়াত কোচের নানান ঘটনা স্মরণ করেন পলা-নূপুর।
অনুষ্ঠানে ছিলেন দুই প্রবাদপ্রতীম কোচের অধীনে খেলা ফুটবলাররা। সুব্রত ভট্টাচার্য, শিশির ঘোষ, সত্যজিৎ চ্যাটার্জি থেকে প্রদীপ চৌধুরী, শ্যাম থাপা, বিদেশ বসু, মানস ভট্টাচার্য। ছিলেন জোস রামিরেজ ব্যারেটো। এদিন বাংলার একমাত্র কোচ প্রোলাইসেন্স কোর্স করা শঙ্করলাল চক্রবর্তীকে সংবর্ধনা জানায় মোহনবাগান ক্লাব।
সবুজ-মেরুন শিবিরে এখন শুধুই ফিল গুডের হাওয়া। সচিব দেবাশিস দত্তর নেতৃত্বে নতুন কর্মসমিতির এক বছরে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়া, এটিকে নাম সরে যাওয়া, ২২ বছর পর হকি লিগে ফিরেই চ্যাম্পিয়ন হওয়া, স্পোর্টস লাইব্রেরি ও স্পোর্টস অ্যাকাডেমি করা – এসবই নতুন কর্মসমিতির চূড়ান্ত সাফল্য। তবে এর মাঝেও ছোট্ট বিতর্ক উঠে এল। সভাপতি টুটু বসু শহরে থেকেও কেন এলেন না? সোসাল মিডিয়ায় তাই নিয়ে লেখালেখি চলছে। টুটু বসু কি আমন্ত্রিত ছিলেন? মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত বলে দিলেন, তিনি নিজে টুটু বসুকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।