ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন,৩০ মার্চ : মোহনবাগান ক্লাবের নতুন সভাপতি কে হবে তা ঝুলেই রইল। তবে তৃণমূলের দুই মন্ত্রী ও মুখপাত্র কুনাল ঘোষকে মোহনবাগান ক্লাবের সহ-সভাপতি হিসেবে বেছে নিলেন ক্লাবের নতুন কর্মসমিতি।
আজ,বুধবার বিকেলে মোহনবাগানের নতুন কর্মসমিতির প্রথম বৈঠক হয়। এই বৈঠকে নতুন সভাপতি নির্বাচন করার কথা ছিল। কিন্তু নতুন সভাপতি নির্বাচন করতে পারেননি কর্তারা। আগামী দিনে কর্মসমিতির দ্বিতীয় বৈঠকে নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন মোহনবাগানের সচিব দেবাশিস দত্ত। সভাপতির নাম নির্বাচন করা না হলেও চার সহ-সভাপতিকে বেছে নিয়েছেন কর্মসমিতির সদস্যরা। ৬ সহ-সভাপতির মধ্যে আপাতত যে চারজনকে বেছে নেওয়া হল তাঁরা প্রত্যেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের পদাধিকারী ও মন্ত্রী। এঁরা হলেন অরূপ রায়, মলয় ঘটক ও কুনাল ঘোষ। চতুর্থ জন হলেন অসিত চ্যাটার্জি। বাকি দুই সহসভাপতির নাম শীঘ্রই জানানো হবে।
সভাপতি হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন অরূপ রায়। কিন্তু অরূপ রায় সভাপতি হতে চলেছেন বলে খবর প্রকাশ্যে আসায় মোহনবাগান জনতার মধ্যে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। সোসাল মিডিয়ায় সভালোচনার ঝড় বয়ে যায়। মোহনবাগান জনতার এমন বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখে ক্লাব কর্তৃপক্ষ ঝুঁকি নেয়নি। তবে সভাপতি পদটা ঝুলিয়ে রাখলেও তৃণমৃলের নেতাদের সহসভাপতি করে দেওয়া হল। যদিও অরূপ রায় ও মলয় ঘটক আগেও সহ-সভাপতি ছিলেন।
এদিন বৈঠক শেষে মোহনবাগান ক্লাবের সচিব দেবাশিস দত্ত জানান,”মোহনবাগান সভাপতির পদটা এতটাই বড় যে, এই পদে বসতে গেলে সমাজের সব স্তরে গ্রহণযোগ্যতা থাকাটা খুব জরুরি। আমরা পরের কর্মসমিতির বৈঠকে বসার আগে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েই সভাপতির নাম ঘোষণা করে দেব।”
মোহনবাগানে এখন নানান পদে শুধুই তৃণমূলের নেতা,মন্ত্রীদের জায়গা। সচিব দেবাশিস দত্ত সাংবাদিক সম্মেলনে ব্যাখা করে বলেন,”যারা যে পদে এসেছেন,তাঁরা প্রত্যেকেই নিজেদের যোগ্যতায় এসেছেন। নেতা,মন্ত্রী বলেই পদে এসেছেন তা ঠিক নয়। যে চারজন সহসভাপতি পদে এলেন তারা আগেও এই পদে ছিলেন। নতুন এই পদে এলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক কুনাল ঘোষ। মোহনবাগান ক্লাবে রাজনীতিকরণ হবে না”।