◆দেবব্রত সরকার ও ফিরহাদ হাকিম। রবিবার ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে◆
ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল করোনা কালের আগেই। নানান কারণে তা শুরু করা যায়নি। অবশেষে রবিবার সন্ধ্যায় মেয়র ফিরহাদ হাকিমের হাত দিয়ে উদ্বোধন হয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের বার কাম রেস্টুরেন্ট। যার পোষাকী নাম ‘মেম্বার্স লাউঞ্জ।’ ইওরোপ বা লাতিন আমেরিকার বড় বড় ক্লাবে এই ধরনের বার কাম রেস্টুরেন্টের চল আছে বহু বছর আগে থেকেই। সদস্য বা সাধারণ যে কেউ এসে ইস্টবেঙ্গলের মেম্বার্স লাউঞ্জে বসে ‘কোয়ালিটি টাইম’ কাটাতে পারবেন। পাশাপাশি এই মেম্বার্স লাউঞ্চ থেকে আসবে ক্লাবের রেভিনিউ।
ময়দানের ক্লাবে এটাই প্রথম বার হল তেমনটা নয়। ডালহৌসি অ্যাথলেটিক ক্লাব, মেসারার্স,কাস্টমস বা রেঞ্জার্স ক্লাবে বহু বছর আগে থেকেই বারের চল আছে। তবে তিন প্রধান ক্লাবের মধ্যে ইস্টবেঙ্গলই প্রথম বার কাম রেস্টুরেন্ট চালু করল।
এদিনের মেম্বার্স লাউঞ্জের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র ফিরহাদ হাকিম। উদ্বোধন করার আগে ফিরহাদ বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন,”যখন কেউ ট্র্যাডিশন ভাঙে তখন তার সমালোচনা হয়। তবে এটাও ঠিক ইস্টবেঙ্গলের পরিচিতি ফুটবল। ক্লাব আধুনিক হচ্ছে। তবে আমরা এবার কিন্তু আবার ট্রফি চাই।”
সল্টলেকে মন্ত্রী সুজিত বসুর বিধাননগর গোল্ড কাপের উদ্বোধন করতে যাওয়ার আগে অরূপ বিশ্বাস বলে গেলেন,”আমরা ছোট থেকে যে ইস্টবেঙ্গলকে চিনতাম সেটা হারিয়ে যাচ্ছে। ফিরে আসার চেষ্টা করছেন কর্তারা। অন্য ক্লাব যেভাবে ফুটবল টিমের জন্য খরচ করছে সেই ভাবে ইস্টবেঙ্গলের স্পনসররাও ভাল দল গড়ে সাফল্য নিয়ে আসুক। ইস্টবেঙ্গলের অতীতকে মাথায় রেখে স্পনসর ভাল দল গড়ুক, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো দল তৈরি করুক। ইস্টবেঙ্গলের স্পনসরদের কাছে বিষয়টা ভেবে দেখার অনুরোধ করছি। পাশাপাশি এই নতুন উদোগ সফল হবে মনে করি।”
ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কর্তা শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্ত বলেন,”আধুনিক যুগে তাল মিলিয়ে চলতে হয়। কেউ কেউ হয়তো সমালোচনা করবে। কিন্তু যুগোপযোগী হতে হবে। এই বিষয়টাকে ভালভাবে নেবেন।” এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ফুটবলার সমরেশ চৌধুরী, অমিত ভদ্র, প্রশান্ত ব্যানার্জি, বিকাশ পাঁজি, মনোজিৎ দাস, নাজিমূল হক, ষষ্ঠী দুলে, স্বরূপ দাস,দুলাল বিশ্বাস, প্রশান্ত চক্রবর্তী, ত্রিজিৎ দাস এবং সম্বরণ ব্যানার্জি। ছিলেন আইএফএ সভাপতি অজিত ব্যানার্জি ও মহমেডান ক্লাবের সচিব ইসতিয়াক আহমেদ।