◆আলভারেজকে আদর মেসির◆
◆আর্জেন্টিনা: ৩ (মেসি, আলভারেজ ২)
◆ক্রোয়েশিয়া: ০
ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : স্বপ্ন পূরণ হতে আর একটা ধাপ। এটাই তাঁর শেষ বিশ্বকাপ। এতদিন তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ক্লাব স্তরে যাবতীয় সাফল্য। দেশের হয়ে ব্যর্থতায় ভরা জীবন। ৬ বছর আগে ক্ষতবিক্ষত ফুটবলের রাজপূত্র দেশের হয়ে আর না খেলার কথা ঘোষণা করেও কিছু দিনের মধ্যেই ফিরে এসেছিলেন। সবার সব ইচ্ছে পূর্ণ হয় না। কিন্তু এবার নিজের শেষ বিশ্বকাপে স্বপ্ন পূরণের এক ধাপ আগে পৌঁছে গিয়েছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা শিল্পী ফুটবলার লিওনেল মেসি। কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়ে মেসির আর্জেন্টিনা ফাইনালে পৌঁছে গেল।
এদিনও তিনি নিজে গোল করলেন,গোল করালেন। সেই সঙ্গে ৯০ মিনিটের ম্যাচে থাকল ‘মেসি ম্যাজিক’-এর ঝলক। এদিনের তার সেরা মুহূর্ত হল তৃতীয় গোলের দুরন্ত পাস। মাঠের ডান প্রান্ত থেকে ডিফেন্ডারদের সঙ্গে নিয়ে স্বপ্নের দৌড়। শরীরের সঙ্গে প্রায় জড়িয়ে থাকা ডিফেন্ডারকে নিজের শরীরের মোচড় দিয়ে ছিটকে এগিয়ে গিয়ে অবিশ্বাস্য গোলের ছোট্ট পাস বাড়ালেন মেসি। সেই ক্লাসিক পাস বাড়ানো বলে পা ছুঁইয়ে ঠান্ডা মাথায় গোল করলেন আলভারেজ। এটা ছিল আর্জেন্টিনার তৃতীয় গোল।
এবারের বিশ্বকাপের প্রতি ম্যাচেই যেন মেসি ম্যাজিক। তবে ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে মেসির মঞ্চে বাজিমাত করলেন তরুণ স্ট্রাইকার জুলিয়ান আলভারেজ। বড় মঞ্চ কখন সখনও অখ্যাতদের বিখ্যাত হওয়ার জন্য আহ্বান করে। এদিন দু-দুটি গোল করে যেন সেই আহ্বানে সাড়া দিলেন আলভারেজ।
আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে খেলতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে শুরু করে ক্রোয়েশিয়া। প্রথম ৩০ মিনিট বলের দখল বেশি রেখেছিলেন ক্রোট বাহিনী। গোলের সুযোগও তৈরি করেছিল। কিন্তু আর্জেন্টিনার জমাট রক্ষণ ভেদ করে গোলটাই করতে পারেনি মডরিচরা। প্রথমার্ধের শেষ ১৫ মিনিটে খেলার ছবিটাই বদলে দিল আর্জেন্টিনা। জোড়া গোল করে এগিয়ে গেলেন মেসিরা।
ম্যাচের ৩৩ মিনিটের মাথায় বক্সের মধ্যে আলভারেজকে ফাউল করেন লিভাকোভিচ। পেনাল্টি দেন রেফারি। সেই পেনাল্টি থেকে গোল করেন মেসি।এটি ছিল বিশ্বকাপে মেসির করা ১১ তম গোল। গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতাকে পেরিয়ে বিশ্বকাপের মঞ্চে আর্জেন্টিনার সর্বোচ্চ গোল স্কোরার এখন মেসিই। পাশাপাশি চলতি বিশ্বকাপে এই গোলটি ছিল মেসির পঞ্চম গোল। যা এমব্যাপেকে ধরে ফেললেন তিনি। এখনও পযর্ন্ত মেসি ও এমব্যাপে যুগ্মভাবে চলতি বিশ্বকাপেরও সর্বোচ্চ গোলদাতা।
১-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ৩৯ মিনিটে ম্যাচের দুরন্ত গোল করেন আলভারেজ। প্রতি আক্রমণ থেকে নিজেদের অর্ধে বল ধরে প্রায় ৪০ গজ দৌড়ে যান তিনি। বক্সের বাইরে তিন ডিফেন্ডারকে টপকে ঢোকেন। সামনে তখন গোলরক্ষক এগিয়ে এলেও ক্ষিপ্রতার সঙ্গে গোলরক্ষককে টপকে বল জালে ঠেলেন আলভারেজ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আর্জেন্টিনা ছ’বার সেমিফাইনাল খেলে ছ’বারই জিতে ফাইনালে পৌঁছে গেল।