মুম্বইকে প্রথমবার হারিয়ে ডুরান্ডের সেমিফাইনালে মোহনবাগান

0

◆গোল করার মুহূর্তে আনোয়ার ◆

◆মোহনবাগান ৩ (কামিংস, মনবীর, আনোয়ার)
◆মুম্বই সিটি এফসি ১ (পেরেরা দিয়াজ)

ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : রবিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে জয়-পরাজয়ের পরিসংখ‍্যানে অনেকটাই পিছিয়ে ছিল মোহনবাগান। তথ‍্যটা এই রকম – ২০২১ সাল থেকে মুম্বই ও মোহনবাগান মুখোমুখি হয়েছিল ৮ বার। তার মধ‍্যে মুম্বই জিতেছিল ৫ বার আর ড্র করেছিল ৩ বার। অর্থাৎ মোহনবাগান মুম্বই দলটাকে হারাতে পারেনি কখনও। সেই মুম্বই সিটির ‘মিথ’, ‘জুজু’ – যাই বলা হত না কেন, রবিবার কোর্য়াটার ফাইনালে (মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে নবম ম‍্যাচ) দাপুটে ফুটবল খেলে মুম্বইকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ডুরান্ডের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল মোহনবাগান।

মোহনবাগানের কাছে এই ম‍্যাচটা যে কঠিন ম‍্যাচ ছিল তাতে কোনও সন্দেহ ছিল না। আর এমন একটা ম‍্যাচের সাক্ষী থাকতে মাঠে হাছির ছিলেন প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার মোহনবাগান সমর্থক। ম‍্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণে উঠে গিয়েছিলেন মনবীর,কামিংসরা। ম‍্যাচের সাত মিনিটের মাথায় বক্সে বল নিয়ে ঢোকার পর কামিংসকে অবৈধভাবে বাধা দেন মুম্বইয়ের গোলকিপার ফুর্বা লাচেনপা। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দিতে সময় নেননি। পেনাল্টি থেকে গোল করেন অস্ট্রেলীয় কামিংস।

পেনাল্টি থেকে গোল করছেন কামিংস

প্রথম গোলটি বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেননি মোহনবাগানের ফুটবলাররা। ২৭ মিনিটে বাগানের বক্সের বাঁ দিকে নিজেদের মধ্যে পাস খেলে নেন মুম্বইয়ের গ্রেগ স্টুয়ার্ট এবং অ্যালবার্ট নগুয়েরা। নগুয়েরা বক্সের মাঝামাঝি বলটা ভাসিয়ে দেন। মোহনবাগানের গোলকিপার বিশাল কাইথের হাতে লেগে বল যায় দিয়াজের কাছে। বুক সমান বলটাকে দিয়াজ বুক দিয়েই ঠেলে বল জালে জড়িয়ে দিয়ে মুম্বইকে সমতায় ফেরান।

ম‍্যাচ ১-১ হওয়ার পর মোহনবাগান তখন যেন আরও বেশি আক্রমণাত্মক। ৩০ মিনিটের মাথায় হুগো বুমোসের ভাসানো বলে হেডে গোল করে মোহনবাগানকে ২-১ গোলে এগিয়ে দেন মনবীর। পিছিয়ে থাকার জন‍্যই শক্তিশালী মুম্বই সিটি দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই অল আউটে চলে যায়। তবে মোহনবাগান কোচ ম‍্যাচের প্রথম থেকেই মুম্বইয়ের দুটি উইংকে অকেজো করে দিয়েছিলেন। ছাংতে আর বিপিনের সেই ভয়ঙ্কর দৌড় আজ দেখা যায়নি। ফলে প্রথম থেকেই সমস‍্যায় পড়ে যায় মুম্বই।

৬৩ মিনিটে আশিক ডান দিকে বিপক্ষের ডিফেন্ডারকে পরাজিত করে বল ভাসিয়ে দেন টপ বক্সে। সেই ভাসানো বলে ঠান্ডা মাথায় হেডে গোল করেন আনোয়ার আলি। ১-৩ গোলে পিছিয়ে যাওয়ার পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি মুম্বই সিটি এফসি। আর মোহনবাগানের ফুটবলাররা রীতিমতো দাপটের সঙ্গে ফুটবল খেলে ম‍্যাচ জিতে মাথা উঁচু করে মাঠ ছাড়লেন।

আগামী ৩১ অগাষ্ট ডুরান্ডের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মোহনবাগান খেলবে গোয়া এফসির বিরুদ্ধে। ২৯ অগাষ্ট প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে ইস্টবেঙ্গল ও নর্থ ইষ্টের বিরুদ্ধে। কলকাতা তথা ভারতের দুই প্রধান দল যদি সেমিফাইনালে জিততে পারে তাহলে এবারের ডুরান্ডের ফাইনালও হবে ডার্বি ম‍্যাচ – মোহনবাগান বনাম ইস্টবেঙ্গল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here