মুখ‍্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করবেন প্রাক্তনরা, ক্লাব লাইসেন্সিং জমা করছে শ্রীসিমেন্ট

0

ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : ইস্টবেঙ্গল-ইনভেস্টর জট কাটাতে এবার আসরে নামলেন একঝাঁক প্রাক্তন ফুটবলার। সোমবার বিকেলে ক্লাব তাঁবুতে আলোচনায় বসেছিলেন প্রাক্তনরা। প্রশান্ত বন্দোপাধ্যায়, অলোক মুখোপাধ্যায়, সুভাষ ভৌমিক, অতনু ভট্টাচার্য, সুমিত মুখোপাধ্যায়, অনীত ঘোষ, রহিম নবি, মেহতাব হোসেন, সূর্যবিকাশ চক্রবর্তী, রজত ঘোষদস্তিদার, ক্রিকেটার শরদিন্দু মুখোপাধ্যায়, আবদুল মুনায়েম সহ মোট ৫৭ জন ক্রীড়াব্যক্তিত্ব আলোচনায় বসেন ৷ চুক্তি জটের কোথায় সমস্যা তা বোঝার জন‍্য এদিন ক্লাবে একজন আইনজীবীকেও রাখা হয়। আগে, পড়ের চুক্তিপত্রে ঠিক কোথায় তফাৎ তা তিনি আইনি ব‍্যাখ‍্যা করে বুঝিয়ে দেন।

চুক্তিপত্র দেখে প্রাক্তনরা মনে করছেন, এই চুক্তিপত্রে সই করা মানে পুরোপুরি ক্লাবটাকেই ইনভেস্টরের হাতে তুলে দেওয়া। যা মেনে নেওয়া যায় না। তবে প্রাক্তনরা জানান, প্রথম চুক্তিপত্রে সই করার সময় ক্লাব কর্তাদের সতর্ক থাকা উচিত ছিল। কেন সই করেছিল? ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কর্তা দেবব্রত সরকার এই ব‍্যাপারে বলেছেন, গতবছর চাপের মধ্যে কোণঠাসা করে তাঁদের চুক্তিতে স্বাক্ষর করার দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল। সেই অনুসারে ক্লাবের ফুটবল স্বত্ব লগ্নিকারীর কাছে রয়েছে। তাঁর মতে চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে ক্লাবের স্বাধিকার হাতছাড়া হবে চিরকালের জন্য । এই কথাটা সদস্য-সমর্থকদের বুঝতে হবে। দেবব্রত সরকার বলছেন, তাঁরা সমস্যা মেটার ব্যাপারে আশাবাদী। সেই প্রক্রিয়াও চলছে।

সুকুমার সমাজপতি জানান,”আমরা সবাই মিলে মুখ‍্যমন্ত্রীর কাছে দেখা করার জন‍্য আবেদন করব। ওনাকে সব বলতে চাই। মুখ‍্যমন্ত্রী ইস্টবেঙ্গলকে আইএসএলে খেলিয়েছেন। উনিই পারেন সমস‍্যার সমাধান করতে। পাশাপাশি আমরা বাঙ্গুর গোষ্ঠীর কর্তাদের কাছেও অনুরোধ করব যাতে আলোচনায় বসে সমস‍্যার সমাধান করেন।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় এই মুহূর্তে দিল্লিতে। কয়েকটা দিন তিনি দিল্লিতেই থাকবেন। তিনি ফিরে এলেই তাঁর সাক্ষাৎ পাওয়ার জন‍্য আবেদন করবেন প্রাক্তনরা।

এদিকে, ক্লাব লাইসেন্সিং জমা করতে চলেছে শ্রীসিমেন্ট। ইনভেস্টরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে,তারা তো ফুটবল খেলতেই চায়। কাজেই ক্লাব লাইসেন্সিং জমা করে দেওয়া হবে। কিন্তু যতক্ষন না চুক্তিপত্রে সই করছে ততক্ষণ একটাকাও আর লগ্নি করবে না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here