ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : চলতি কলকাতা লিগে CRA (ক্যালকাটা রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশন) তে চূড়ান্ত অব্যবস্থা। কলকাতা লিগের মতো এত বড় ফুটবল লিগে সব ম্যাচে রেফারি, লাইন্সম্যান পোষ্টিং দিতে পারছেন না CRA কর্তারা। তাঁদের অপেশাদার মনোভাব এবং ব্যর্থতায় মুখ পুড়ছে আইএফএ-এর। অবশ্য লিগের সব ম্যাচ সুষ্ঠুভাবে করতে না পারার জন্য দায় নিতে হবে আইএফএকেও।
বৃহস্পতিবার গড়ের মাঠে তৃতীয় ও চতুর্থ ডিভিশনের মোট ৮ টি ম্যাচ ছিল। তার মধ্যে চতুর্থ ডিভিশনের ম্যাচে লাইন্সম্যান মাঠে না যাওয়ায় গ্রিয়ার মাঠে বেহালা এএসএ ও পাইকপাড়া স্পোর্টিং ম্যাচ বাতিল হয়ে গেল। একই কারণে রেঞ্জার্স মাঠে সিঁথি রাসবিহারী ও স্পোর্টিং ম্যাচ (চতুর্থ ডিভিশন) ভেস্তে গেল। লাইন্সম্যান দেরি করে মাঠে যাওয়ায় বাটা মাঠে ২০ মিনিট দেরিতে খেলা শুরু হয়। CRA এখন লিগ নিয়ে কার্যত ‘ল্যাজে-গোবরে’ অবস্থা।
এত বড় লিগে ম্যাচের আগে পোষ্টিং দেওয়ার পর কেন রেফারি, লাইন্সম্যানরা মাঠে আসেন না? এমন ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানতে CRA সভাপতি ভোলা দত্তর সঙ্গে যোগাযোগ করলে ‘ইনসাইড স্পোর্টস’কে তিনি বলেন,”আমি আজ CRA থেকে অনেক দুরে আছি। আমাদের ম্যাচ পোষ্টিং কমিটি আছে। সহসচিব তুষার কান্তি গুহও আছে। আপনি ওঁদের সঙ্গে কথা বলুন।” পরে তালতলা মাঠে গিয়ে তুষারবাবুকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “একটা সমস্যা হয়েছে। হাওড়ায় ট্রেনের সমস্যা। তাই এই সমস্যা হয়েছে।”
ভোলা দত্ত ও তুষার কান্তি গুহর বক্তব্য জানান দিচ্ছে, CRA এখনও সেই মান্ধাত্বা আমলেই আছেন। CRA এর একটা সূত্র থেকে জানা গেল, বৃহস্পতিবার রেফারি ও সহকারী রেফারি মিলিয়ে চার জন কমছিল। ম্যাচের আগের দিনই সংশ্লিষ্ট রেফারি, লাইন্সম্যানকে হোয়াটসঅ্যাপ ও ফোন করে পোষ্টিং বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়। গতকালও (বুধবার) নাকি জানানো হয়েছিল। তবে হোয়াটসঅ্যাপ করলেও পরে ফোন করে রিকনফার্ম করার ক্ষেত্রে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। ঘটনা যদি তাই হয় তাহলে চূড়ান্ত অপেশাদারিত্ব CRAতে। তাহলে ম্যাচ পোষ্টিং কমিটির কাজটা কি? প্রশ্ন উঠছে।
ম্যাচ বাতিলের খবর পেয়ে মাঠে পৌঁছে যান আইএফএ সহসচিব মহম্মদ জামাল। রেঞ্জার্স মাঠে খেলতে আসা সিঁথি রাসবিহারীর ফুটবলারদের সঙ্গে কথা বলে ম্যাচ বাতিলের ঘটনা জানতে চান জামাল। রেঞ্জার্স মাঠ চত্বরে দাঁড়িয়ে জামাল ‘ইনসাইড স্পোর্টস’কে জানান,”আমাদের সচিবকে সব জানানো হয়েছে। আগামীকাল রেফারি সংস্থার পদাধিকারীদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসবে আইএফএ।”
এদিকে, রেফারি,লাইন্সম্যানদের দায়িত্বহীনতার জন্য বিপাকে ছোট দলের কর্তারা। এমনিতেই ছোট ক্লাবের কোনও স্পনসর নেই। কষ্টে টাকা জোগার করে দল গড়েন। তারপর মাঠে নামার পর ম্যাচ বাতিল হয়ে গেলে বাজেটের অতিরিক্ত আর্থিক খরচ বেড়ে যায়। বেহালা এ এস এ সচিব শ্রীমন্ত কুমার মল্লিক ‘ইনসাইড স্পোর্টস’কে বলছিলেন,”একটা ম্যাচ মানে এত গুলো ফুটবলারদের যাতায়াত খরচ, খাবারের খরচ। আজ ম্যাচ হল না। কিন্তু খরচটা তো হচ্ছে। এই ম্যাচটা আবার যখন হবে একই খরচ হবে। এই সব কেউ ভাবে না। রেফারি বা লাইন্সম্যান কোনও কারণে নাই আসতে পারেন। কিন্তু কয়েকজনকে রিজার্ভে রাখা হলে ভাল হয়। এটা সিআরএ ও আইএফএ-ভাবা উচিত।”