◆সাতটি ক্যাম্পের কিছু মহিলা ফুটবলার ও ‘গড়িয়া মানবিক’-এর কর্তারা◆
ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : গ্রাম বাংলা থেকে মহিলা ফুটবলার তুলে আনতে উদ্যোগী সেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘গড়িয়া মানবিক’। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে আছে বহু মহিলা ফুটবল প্রতিভা। নানান প্রতিকৃল পরিবেশের মধ্যে দিয়ে যারা ফুটবল খেলে চলেছে তাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে নতুন করে পদক্ষেপ করল এই সংস্থাটি।
রবিবার গড়িয়ার মহাময়াতলা সংলগ্ন পেয়ারাবাগানে বেশ কিছু মহিলা ফুটবলার ও সংশ্লিষ্ট কোচিং ক্যাম্পের কর্তাদের নিয়ে নতুন করে পথ চলা শুরু করল ‘গড়িয়া মানবিক’। কি কি করতে চলেছে এই সংস্থা? এখনও পযর্ন্ত বাঁকুড়া, সন্দেশখালি,গোসাবা,বাসন্তি থেকে বসিরহাট,ঝাড়গ্রামের মোট সাতটি মহিলা ফুটবল ক্যাম্পের সঙ্গে চুক্তি করা হয়। আপাতত এক বছরের চুক্তি। এই এক বছরে চুক্তিবদ্ধ ফুটবলারদের খেলার সরঞ্জাম,মেডিকেল কিট থেকে জামা-কাপড় সবই দেবে এই সংস্থা। মাসে একবার করে চুক্তিবদ্ধ ফুটবলারদের নিয়ে শিবিরও করা হবে। সংশ্লিষ্ট ক্যাম্পের কোচেদের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হবে। ফুটবলারদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর কলকাতার বিভিন্ন ক্লাবে এই সব মহিলা ফুটবলারদের খেলানোর সুযোগ করে দেওয়ার রাস্তাও খুলে দিতে চাইছে। এই সব প্রক্রিয়ার জন্য চুক্তিবদ্ধ ক্যাম্পের কোনও ফুটবলারকে অর্থ খরচ করতে হবে না। প্রসঙ্গত, ফুটবলারদের মেডিকেল সাপোর্ট দেওয়ার জন্য এগিয়ে এসেছে ‘আরোগ্য বাহিনী’।
এই ‘গড়িয়া মানবিক’ সংস্থার সঙ্গে জড়িয়ে আছেন ফুটবলার থেকে অভিনয় জগৎ সহ সমাজের বিভিন্ন জগতের মানুষ। সংস্থার অন্যতম সদস্য প্রাক্তন ফুটবলার দীপ্তিকল্যাণ সেন শর্মা জানান, এই সংস্থাটির সঙ্গে জড়িয়ে আছেন অভিনেত্রী,সুভদ্রা মুখার্জি (এই সংস্থার সচিব ও ফুটবল কমিটির চেয়ারপার্সন), জুন মালিয়া থেকে কল্যাণী মন্ডল। এই কল্যাণী একটা সময় গড়ের মাঠে ক্রিকেটও খেলেছেন। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ আমাদের ‘গড়িয়া মানবিক’ সংস্থার সঙ্গে আছেন। আমাদের সংস্থার প্রধান দেবব্রত সরকারের বহুদিনের ইচ্ছে ছিল মহিলা ফুটবলারদের উন্নয়ন নিয়ে কাজ করা। আজ সেই কাজ শুরু হল।”
দেবব্রত (টুটু) সরকার বলেন,”জেলার বিভিন্ন গ্রামে বহু প্রতিভাবান মহিলা ফুটবলার আছে। কিন্তু তারা এতটাই দরিদ্র যে ভাল করে ফুটবলটাই খেলতে পারে না। আমরা একটা উদ্যোগ নিয়েছি। আশাকরি সবাইকেই পাশে পাবো।” এই উদ্যোগে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর সুশান্ত দাস ও ক্রীড়াপ্রেমী সঞ্জয় সরকার।