◆নতুন সচিব ইসতিয়াকের সঙ্গে সভাপতি আমিরুদ্দিন ববি ও কার্যকরী সভাপতি মহম্মদ কামরুদ্দি◆
ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন,২০ ফেব্রুয়ারি : নির্বাচন কিছুদিন আগেই হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বিরোধী পক্ষ না থাকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি। তারপর কেটে গিয়েছে প্রায় দুই সপ্তাহ। অবশেষে আজ, সোমবার নতুন কমিটি তৈরি করল শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব মহমেডান স্পোর্টিং।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এদিন মহমেডানের যে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হল তা এই রকম –
◆সভাপতি – আমিরুদ্দিন ববি ◆কার্যকরী সভাপতি – মহম্মদ কামরুদ্দিন◆ সচিব – ইসতিয়াক (রাজু) আহমেদ ◆সহসচিব – সারিক আহমেদ◆ কোষাধ্যক্ষ – মহম্মদ আক্রম ◆ফুটবল সচিব – দীপেন্দু বিশ্বাস ◆গ্রাউন্ড সচিব – সেখ মইনুদ্দিন ◆গ্রাউন্ড সহসচিব – বেলাল আহমেদ খান, ◆ক্রিকেট সচিব- দীপক কুমার সিং ◆ সহসভাপতি – মঞ্জির ইকবাল, মহম্মদ নাসিম, নাসির হুসেন, আজহার তনবীর কলিম ◆ হকি সচিব – ইরফান আলি তাজ ◆ মিডিয়া চেয়ারম্যান – জাফর আলি খান। কো-অপ্ট মেম্বার হিসেবে রহিম নবি ও সেখ আজিমকে নেওয়া হয়েছে।
দানিশ ইকবালের পরিবর্তে মহমেডানের নতুন সচিব পদে এলেন রাজু ওরফে ইসতিয়াক আহমেদ। আজ থেকে ২২ বছর আগে যখন সুলেমান খুরশিদ মহমেডান ক্লাব ছেড়ে চলে যান তখন সুলতান আহমেদ, কামরুদ্দিনের সঙ্গে ক্লাব প্রশাসনে এসেছিলেন ইসতিয়াক আহমেদ। সেই থেকেই মহমেডানের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত। অবশেষে ক্লাবের শীর্ষকর্তা সহ কমিটির সদস্যরা সচিব হিসেবে ইসতিয়াককেই সচিব হিসেবে বেছে নিলেন।
মহমেডানের নতুন সচিব হয়ে লক্ষ্য কি? রোডম্যাপ কি তৈরি করেছেন? উত্তর দিতে গিয়ে ইসতিয়াক আহমেদ জানান,”সবে মাত্র সচিব হয়েছি। কমিটির সবাইকে নিয়েই আলোচনা করব। পরিকল্পনা তো আছেই। তবে এই মুহূর্তে আমাদের টিম আই লিগে এত খারাপ পারফরমেন্স করল কেন, তা নিয়ে গুরুত্ব দিয়ে পর্যালোচনা করতে হবে।”
গত চার বছরে তিনজন সচিব হলেন। ওয়াসিম আক্রম, দানিশ ইকবালের পর ইসতিয়াক আহমেদ। ক্লাবে ওয়াসিম আক্রমের গ্রহণযোগ্যতা ছিল না। স্বাভাবিক ভাবেই কমিটির সকল সদস্যদের আপত্তিতে ওয়াসিমকে সচিব পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তার জায়গায় নিয়ে আসা হয় দানিশ ইকবালকে। এবার দানিশের জায়গায় সচিব পদে নিয়ে আসা হল অভিজ্ঞ ইসতিয়াক আহমেদকে। এই ব্যাপারে মহমেডান ক্লাবের সভাপতি আমিরুদ্দিন ববি জানান,”দানিশ খুব ভাল ছেলে। ও প্রায় দুই বছর সচিব পদে থাকল। এবার সবাই ইসতিয়াককেই চেয়েছে বলেই তাঁকেই বেছে নেওয়া হল। আমরা রোটেশনে বিশ্বাসী। দানিশ সচিব পদে না থাকলেও ও ক্লাবে আগের মতোই গুরুত্ব দিয়ে কাজ করবে। এই ব্যাপারে অন্য কিছু ভাববেন না। আমরা একটা টিম হিসেবে কাজ করছি।”
এবছর আই লিগে অপ্রত্যাশিত ভাবে খারাপ পারফরমেন্স করেছে মহমেডান। তাহলে আইএসএলের কি হবে।? ইস্টবেঙ্গল যেভাবে আইএসএলে খেলছে অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রীর সাহায্য নিয়ে মহমেডানও কি আইএসএলে খেলবে? উত্তরে কার্যকরী সভাপতি মহম্মদ কামরুদ্দিন বলেন,”আমরা ধীরে চলো নীতি নিয়েছি। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী আমাদের সঙ্গে আছে এটা ঠিক। তবে আপনাদের পরিস্কার করে জানিয়ে দিতে চায়, নূন্যতম যোগ্যতা না অর্জন করে ব্যাকডোর দিয়ে আইএসএল খেলতে রাজি নই। এই যে আমাদের ক্লাবের পরিকাঠামো বদলে দেওয়া হচ্ছে,তা কিন্তু আইএসএলে খেলার জন্যই। সব কিছুর উত্তর সময়ে পেয়ে যাবেন।”
সচিব পদ থেকে সরে যাওয়ার পর দানিশ ইকবাল বলেন,”সবার আগে মহমেডান ক্লাব। পদে থাকি না থাকি, ক্লাবের জন্য আগের মতোই কাজ করব। ক্লাবের শীর্ষকর্তারা, কমিটি মেম্বাররা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাতে আমার আপত্তি নেই। আমাদের সবার একটাই লক্ষ্য, মহমেডানকে শীর্ষে নিয়ে যাওয়া। ইসতিয়াকভাইয়ের সঙ্গে আমার দীর্ঘক্ষন আজ কথা হল। আমরা একসঙ্গে হাতে হাত রেখে কাজ করব।”