ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন, কলকাতা,৮ মে : রাজনীতিতে এসেই বাজিমাত করেছেন প্রাক্তন ফুটবলার বিদেশ বসু ও ক্রিকেটার মনোজ তিওয়াড়ি। উলুবেড়িয়া পূর্ব কেন্দ্রে থেকে ১৭ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতে প্রথমবার বিধায়ক হয়েছেন বিদেশ বসু। আর হাওড়ার শিবপুর কেন্দ্রে বিজেপির রথীন চক্রবর্তীকে ৩২.৬০৩ ভোটে হারিয়ে বাজিমাত করেছেন বাংলার রনজি দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। এই দুই খেলোয়াড়ের চমৎকার সাফল্যে খুশি হয়েছেন খোদ তৃণমূল নেত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূলের একটি সূত্রের খবর, বিদেশ বসু ও মনোজ তিওয়ারির মধ্যে একজন মন্ত্রী হতে চলেছেন। নিশ্চিত করে এখনই বলা যাবে না। তবে সম্ভাবনা প্রবল।
বিদেশ বসু ২০১৬ সাল থেকে রাজ্য সরকারের ‘জয়ী’ ফুটবল প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের রিফিউজি হ্যান্ডিক্র্যাফ্ট (উদ্বাস্তু হস্তশিল্প দফতর) চেয়ারম্যান পদে থেকে কাজ শুরু করেছিলেন বিদেশ বসুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু প্রাক্তন ফুটবলার মানস ভট্টাচার্য। তাঁর ডেপুটি ছিলেন বিদেশ। এই দুই বন্ধু মিলেই বাংলার বিভিন্ন জেলায় রাজ্য সরকারের সহায়তায় ফুটবল (জয়ী) তৈরির কাজ এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই বিদেশকে দিয়ে ক্রীড়ায় আরও ভাল কিছু করানো যায় কিনা তা নিয়ে নাকি মুখ্যমন্ত্রীর ভাবনার মধ্যে আছে বলে শোনা আচ্ছে। বিদেশ বসু ময়দানের আর “কিছু” প্রাক্তনদের থেকে একটু আলাদা। কম কথা বলেন। নিজের দায়িত্বটা মন দিয়েই পালন করেন। সেক্ষেত্রে বিদেশের ভাগ্যে প্রতিমন্ত্রী তকমাটা লাগার সম্ভাবনা আছে।
পাশাপাশি মন্ত্রীত্বের লড়াইয়ের দৌড়ে আছেন ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি। তাঁর প্লাস পয়েন্ট হল মনোজের বয়স। তৃণমূল সূত্রের খবর, এবারের মন্ত্রী সভায় মুখ্যমন্ত্রী কিছু তরুণ মুখ রাখতে চায়ছেন। হাওড়া জেলা থেকে আগে লক্ষ্মীরতন শুক্লাকে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছিল। এবারও বিধান সভায় হাওড়া জেলা খুব ভাল ফল করেছে। সেক্ষেত্রে লক্ষ্মীর মতো মনোজকে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দেখার সম্ভাবনা বেশি।
নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর মিডিয়ার সামনে এক সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে, মন্ত্রী হওয়ার প্রশ্নে মনোজ বলেছিলেন.”দিদি যদি যোগ্য মনে করেন তাহলে অবশ্যই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেব। আমি তো চার নম্বর থেকে সাত নম্বর – সব জায়গায় ব্যাট করতে পারি।”
মনোজ ইতিমধ্যে নিজের এলাকায় করোনা মোকাবেলার কাজে নেমে পড়েছেন। পাড়ায় পাড়ায় নিজে হাতে স্যানিটাইজও করছেন। ক্রিকেটকে শিকেই তুলে দিয়ে রাজনীতিতে একশো শতাংশ ফোকাস করতে মরিয়া মনোজ।