মনবীরের বিশ্বমানের গোল, ডার্বির রং সবুজ মেরূন

0

ইস্টবেঙ্গল – ০
মোহনবাগান – ২ (রয় কৃষ্ণা-৪৯ মি. মনবীর ৮৫ মি.)

ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : শুরুটা চমৎকার করেছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। জমিতে বল রেখে চার পাঁচটা পাস খেলতে খেলতে এটিকে মোহনবাগানের বক্সে পৌঁছে যাচ্ছিলেন এসসি ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা। আর হাবাসের ছেলেরা এলোমেলো শট উপরে খেলছিল। এমনটা চললো প্রথমার্ধের আঠারো মিনিট পর্যন্ত। তারপর থেকেই যেন আস্তে আস্তে ইস্টবেঙ্গলের পাসিং ফুটবল ফিকে হতে থাকল। রক্ষণে ফাটল ঢাকতে লাল-হলুদ যেন রক্ষনাত্মক।


প্রথমার্ধের শেষ ২৭ মিনিট সাদামাটা ফুটবল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই মোহনবাগান ছন্দময়। মাঝমাঠ দখল নেওয়ায় আক্রমণে উঠছিল ঘন ঘন। একই সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণ বিভাগটাও একটু দুর্বল ছিল। আইএসএলে নতুন দল। গুছিয়ে উঠতে পারেনি।

মোহনবাগান সেটাই করল। ইস্টবেঙ্গল নতুন দল। এখনও গুছিয়ে উঠতে পারেনি। রক্ষণও গুছিয়ে ওঠেনি। তারই সুযোগ নিয়ে দু’টো গোল। দু’টোই দ্বিতীয়ার্ধে। প্রথমটা রয় কৃষ্ণার,৪৯ মিনিটে। পরেরটা মনবীরের। ম‍্যাচের বয়স তখন ৮৫ মিনিট। দারুণ একটা দৌড়ের ফসল। বিপক্ষের বক্সের ডান দিক দিয়ে দৌড়, একটু এগিয়ে বাঁ দিকে কাট করে বাঁ পায়ে অসাধারণ ভলি। বিশ্বমানের গোল। এমন গোল দেখার জন‍্য বহুদুর থেকে হেঁটে হাসা যায়। আইএসএলের ইতিহাসে প্রথম ডার্বি ম‍্যাচে মোহনবাগান জিতল ২-০ গোলে।

ম‍্যাচের সময় যত এগিয়েছে, মোহনবাগান দল হিসেবে কয়েক কদম এগিয়ে যেতে থাকে। রক্ষণ থেকে মাঝমাঠ, একদম জমাট। ইস্টবেঙ্গল আক্রমণকে ওরা দানা বাঁধতেই দিলেন সন্দেশ ঝিঙ্গানরা।
এদিকে ডার্বিতে জয় পাওয়ায় ক্লাব সদস‍্য ও সমর্থকদের শুভেচ্ছ বার্তা পাঠিয়ছেন এটিকে মোহনবাগান কর্তা সঞ্জীব গোয়েঙ্কা ও ক্লাব সচিব সৃঞ্জয় বসু।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here