ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন, কলকাতা : হাসপাতালের বাইরে তখন ভক্তদের জমায়েত। তাদের প্রিয় ‘দাদা’কে শুভেচ্ছা জানাতেই ভক্তদের ভিড়। হাসপাতাল থেকে বেরোনোর সময় মহারাজের পরনে ছিল খয়েরি রঙের ফুল জ্যাকেট। মুখে মাস্ক। বেরিয়ে প্রথমেই হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষায় থাকা ভক্তদের উদ্দেশে হাত নাড়লেন সৌরভ। “জীবন ফিরে পেলাম। চিকিৎসকরা যতদিন বলবেন ততদিন বিশ্রাম নেব। আশা করি, দ্রুত আমি আবার উড়তে পারব।” কথাগুলি বলেই নিজের গাড়িতে উঠে বেহালার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন বিসিসিআইএ-এর সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি।
হাসপাতাল থেকে নিজের পছন্দের চেরি রঙের গাড়িতে করে হাসপাতাল থেকে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন তিনি । হাসপাতালের মতো বাড়ির সামনেও ছিল ভক্তদের চোখে পড়ার মতো ভিড় । বাড়ি ঢোকার সময় ভক্তদের ভিড় সামাল দিতে রীতিমতো নাজেহাল হতে হয় পুলিশকে।
শুধু কলকাতা নয়, মহারাজের আরোগ্য কামনায় যজ্ঞে মেতেছিলেন বালুরঘাটের সৌরভ ফাউন্ডেশনের সদস্যরা। দক্ষিণ দিনাজপুর ক্রীড়া সংস্থার প্রাক্তন সচিব ও বর্তমানে সিএবির অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সদস্য গৌতম গোস্বামীর নেতৃত্বে যজ্ঞ করা হয়। সৌরভ গাঙ্গুলির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ গৌতমবাবু জানান,”সৌরভ আমাদের সবার কাছে গর্ব। বাঙালির আত্মতৃপ্তির নামই হল সৌরভ। ওঁর আরোগ্য কামনায় আমরা (সৌরভ ফাউন্ডেশন ও চকবাজারের উত্তরায়ন ক্লাব সদস্য) যজ্ঞ ছাড়াও এদিন মহারাজের পরবর্তী জীবনের জন্য শুভেচ্ছানুষ্ঠানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সামিল হয়েছিলে বালুরঘাটের ক্রীড়া জগতের মানুষ। আশা করি মহারাজ খুব শীঘ্রই কাজে যোগ দেবেন।”
উল্লেখ্য, ডাক্তার দেবি শেঠী জানিয়েছেন, সৌরভ এখন সুস্থ। আগের মতোই কাজ করতে পারবেন।