◆জয়ন্ত বাউড়ি ও সমরেশ ঢক, বুধবার আইএফএ অফিসে◆
ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন,১৭ মে : অনূর্ধ্ব-১৭ জেলা ফুটবলে বয়স ভাঁড়ানোর অভিযোগ থেকে অবশেষে মুক্ত হলেন বাঁকুড়া জেলার দুই ফুটবলার জয়ন্ত বাউড়ি ও সমরেশ ঢক। আজ, দুপুরে জরুরি বৈঠক করে সব নথি খতিয়ে দেখে অভিযুক্ত দুই ফুটবলারকে মুক্ত করল আইএফএ। যার ফলে জয়ন্ত ও সমরেশের চলতি অনূর্ধ্ব-১৭ জেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলতে আর কোনও সমস্যা রইল না।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও বর্ধমানের চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ চলছিল। কিন্তু বেশ কয়েকদিন আগে বাঁকুড়া জেলা দলের দুই ফুটবলার জয়ন্ত ও সমরেশের বয়স ১৭ বছরের বেশি বলে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন পুরুলিয়া জেলার মানভূম ক্রীড়া সংস্থা। এই অভিযোগের কারণে গতকাল (মঙ্গলবার) ম্যাচ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় আইএফএ।
পুরুলিয়ার অভিযোগকে চ্যালেঞ্জ করে আইএফএ-এর কাছে আবেদন করেন বাঁকুড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্তারা। এই দুই জেলার অভিযোগ নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন আইএফএ সচিব অনির্বান দত্ত ও সভাপতি অজিত ব্যানার্জি। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চিকিৎসক প্রতীম রায়, দুই আইনজীবী অপূর্ব কুমার ঘোষ ও সৌরভ চন্দ্র। ছিলেন আইএফএ সহসভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস, সহসচিব নজরুল ইসলাম।
এই সভায় যাবতীয় নথি সহ হাজির ছিলেন বাঁকুড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার সচিব তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় ও দুই অভিযুক্ত ফুটবলার। বৈঠকে তারাশঙ্করবাবু ছাড়াও দুই অভিযুক্ত ফুটবলার জয়ন্ত ও সমরেশকেও ডেকে তাদের ব্যাখ্যা শোনেন আইএফএ কর্তারা। শুধু তাই নয়, জন্মানোর পর নার্সিং হোমের ডিসচার্জ সার্টিফিকেট, পোলিওর সার্টিফিকেট থেকে আধার কার্ড, অ্যাডমিড কার্ড সহ যাবতীয় নথি বৈঠকে পেশ করেন বাঁকুড়ার ফুটবলার ও কর্তারা। সব কিছু খতিয়ে দেখে বাঁকুড়া জেলা দলের দুই ফুটবলার জয়ন্ত ও সমরেশকে পুরুলিয়ার অভিযোগ থেকে মুক্ত করল আইএফএ।
এই ব্যাপারে আইএফএ সচিব অনির্বান দত্ত বলেন,”বাঁকুড়ার দুই ফুটবলারের বিরুদ্ধে বয়স ভাঁড়ানোর অভিযোগ করেছিল পুরুলিয়া। পাল্টা চ্যালেঞ্জ করেছিল বাঁকুড়াও। আমরা আইনজীবী,চিকিৎসকদের নিয়ে বৈঠক করেছি। বাঁকুড়ার যাবতীয় নথিপত্র দেখেছি। পাশাপাশি আইনজীবী ও চিকিৎসকের মতামতও আমরা নিয়েছি। সব কিছু খতিয়ে দেখে পুরুলিয়ার অভিযোগ খারিজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
বাঁকুড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার সচিব তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় ‘ইনসাইড স্পোর্টস’জানান,”আমাদের দুই ফুটবলার জয়ন্ত ও সমরেশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ পুরুলিয়া করেছে তা দুর্ভাগ্যজনক। আমরা আইএফএ-এর নিয়ম মেনেই চলি। ফুটবলারদের যাবতীয় নথিপত্র আমরা আইএফএতে জমা দিয়েছি। তারা সন্তুষ্ট। ন্যায় বিচার পেয়ে আমরা খুশি।”