এটিকে মোহনবাগান – ২ (জনি কাউকো-২)
মহমেডান স্পোর্টিং – ১ (অভিষেক)
ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : কল্যাণী স্টেডিয়ামের পর এবার নতুন করে উঠে আসছে নৈহাটি স্টেডিয়াম। ইতিমধ্যে কলকাতা লিগ ও আই লিগের ম্যাচ এই স্টেডিয়ামে হচ্ছে। এবার জাঁকজমক ভাবে নৈহাটি গোল্ড কাপও হচ্ছে। তারই মাঝে এটিকে মোহনবাগান-মহমেডান স্পোর্টিং এর এক প্রদর্শনী ম্যাচ করে নৈহাটিতে ফুটবল উন্মাদনা ফিরিয়ে আনলেন স্থানীয় বিধায়ক ও সদ্য মন্ত্রী হওয়া পার্থ ভৌমিক।
মোসনবাগান – মহমেডানের ম্যাচ ঘিরে এলাকা ঘিরে স্থানীয় ক্রীড়াপ্রমিদের মধ্যে উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। এই প্রথম নৈহাটিতে ফুটবলের কোনও বড় ম্যাচ হল। এই নৈহাটি স্টেডিয়ামে দর্শকাসন ১০ হাজার। বড় ম্যাচের টিকিটের চাহিদা ছিল তুঙ্গে। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে মাত্র ৭ হাজার দর্শকদের মাঠে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে। এই ম্যাচটি যাতে সুষ্ঠুভাবে হয় তার পুরো দায়িত্ব ইউনাইটেড স্পোর্টস ক্লাবের ডিরেক্টর নবাব ভট্টাচার্যের হাতে তুলে দিয়েছিলেন মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। নবাব ভট্টাচার্য্য চমৎকার ম্যাচ আয়োজন করলেন।
মোহনবাগান-মহমেডানের এই প্রদর্শনী ম্যাচের উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও মোহনবাগানের ফুটবল সচিব স্বপন (বাবুন) ব্যানার্জি।
এই ম্যাচ নিছকই প্রদর্শনী ম্যাচ হোক না কেন, ডুরান্ডের আগে মরসুমের প্রথম বড় ম্যাচ খেলে নিজেদের দেখে নিলেন দুই প্রাধানের কোচ, ফুটবলাররা। নিজেদের পরখ করে দেখে নেওয়ার ম্যাচ বলেই দুই অর্ধে মোহনবাগান ২০ জন আর মহমেডান ১৮ জন ফুটবলারকে খেলালেন দুই প্রধানের দুই কোচ। এই ম্যাচে মোহনবাগান ২-১ গোলে হারাল মহমেডানকে।
প্রথমার্ধে মহমেডান বেশি আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে। নতুন বিদেশি ওউসমানে এনদিয়ায়ে এবং নুরুদ্দিনকে নিয়ে শুরু করে মহমেডান। ৪০ মিনিটের মাথায় বক্সের মধ্যে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয় শেখ ফৈয়াজকে। পেনাল্টি থেকে গোল করে মহমেডানকে এগিয়ে দেন অভিষেক। প্রথমার্ধে আরও বেশ কিছু সুযোগ এসেছিল মহমেডানের। কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি মহমেডানের ফুটবলাররা।
দ্বিতীয়ার্ধে শুরু থেকে এটিকে মোহনবাগান ম্যাচের দখল নিয়ে নেয়। ৬৮ মিনিটে ফারদিন আলি মোল্লাকে বক্সের মধ্যে ফাউল করা হয়। জনি কাউকো পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরান। পরে ম্যাচের শেষ মুহূর্তে ফ্রিকিক থেকে গোল করে সবুজ-মেরুনকে জিতিয়ে দেন সেই জনি কাউকো।