ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : শনিবার দুপুরে শহর কলকাতায় প্রবল বৃষ্টি। ইমামি ইস্টবেঙ্গলের কোচ,ফুটবলাররা অনুশীলন করার আগেই প্রায় দেড় ঘন্টা টানা বৃষ্টিতে মাঠ জলে থৈ থৈ। বড় ম্যাচের আগে আর অনুশীলনই করতে পারলেন না ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা। এমনিতেই এদিন দুপুর আড়াইটে ‘ক্লোজ ডোর প্র্যাকটিস’ করার পরিকল্পনা ছিল কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইনের। অনুশীলন না করতে পেরে টিমকে নিয়ে চলে গেলেন নিউ টাউনের হোটেলে। বাইরে তখনও টিকিটের আশায় বৃষ্টি ভেজা লাল-হলুদ সদস্য-সমর্থকরা। তাঁদের আকুতি -“কাল ম্যাচটা জিতে এসো।” সাম্প্রতিক কালে বেশ কয়েকটি বড় ম্যাচে হারতে হয়েছে। সেই যন্ত্রণা থেকেই স্টিফেন বাহিনীর কাছে সমর্থকদের ম্যাচ জেতার আকুতি।
অতীত কালের মতো বড় ম্যাচের সাংবাদিক সম্মেলনের ব্যবস্থা ছিল না শনিবার। ইনভেস্টর ইমামির পক্ষ থেকে ব্রিটিশ কোচ স্টিফেনের একটা ভিডিও বার্তা (বড় ম্যাচ সম্পর্কে ) পাঠায় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমকে।
ইস্টবেঙ্গলের কোচ সেই ভিডিও বার্তায় বলছেন, “আমরা অনেক দেরিতে শুরু করেছি ৷ চেষ্টা করছি ম্যাচ ফিটনেসের জায়গায় পৌছনোর। মোহনবাগান খুব ভাল দল। ভারতীয় ও বিদেশি নিয়ে যথেষ্ট ভারসাম্যের দল। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের কাছে কঠিন ম্যাচ।”
প্রথম দু’ম্যাচে জয় আসেনি ৷ একাধিক গোলের সুযোগ নষ্ট করে ড্র-তেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে ৷ এবারের ডুরান্ডে দুটি ম্যাচ খেলে ইস্টবেঙ্গল দুটি ড্র করেছে। অর্থাৎ মাত্র দুপয়েন্ট। টুর্নামেন্টে টিকে থাকার লড়াই ডার্বির ফলাফলের উপর নির্ভর করবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। সুহের ভিপি, অঙ্কিত মুখোপাধ্যয়, নাওরেম মহেশ সিং’য়ের চোটের অবস্থা নিয়ে ম্যাচের দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চায় লাল-হলুদ থিঙ্কট্যাঙ্ক।
এটিকে মোহনবাগানের অবস্থাও ভাল নয়। এবার ডুরান্ড শুরুই করেছে হার দিয়ে। দুটি ম্যাচ খেলে একটি হার,একটি ড্র করেছে মোহনবাগান। চাপে মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। ডুরান্ডের নকআউটে পৌছনোর রাস্থা সুগম করতে হলে রবিবারের ডার্বি ম্যাচ জেতাটা খুব জরুরি। এদিন সকালে নিজেদের মাঠে মোহনবাগান ক্লোজ ডোর অনুশীলন করে। ম্যাচ শেষে কোচ ফেরান্দো সাংবাদিকদের সামনেই আসেননি। তারাও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমকে কোচের বক্তব্য লিখে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। স্নায়ুর চাপ সামলে বড় ম্যাচ জিতে স্বমহিমায় ফিরতে চাইছে এটিকে মোহনবাগান।
জানা যায়, গোল তুলে আনতে শনিবার সকালে সেটপিস অনুশীলনে বাড়তি জোর দিয়েছিলেন কোচ ফেরান্দো ৷ শেষ দুই ম্যাচে একাধিক গোল নষ্ট। তবুও গোলের ক্ষেত্রে কাউকো ছাড়াও লিস্টন কোলাসো ও মনবীর সিং-এর উপরে ভরসা রাখছেন এটিকে মোহনবাগান কোচ। এক বিবৃতিতে কোচ ফেরান্দো বলেন, “ডার্বি ম্যাচটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিচ্ছি। এই ম্যাচ কলকাতার দর্শকের সামনে খেলতে পারা সম্মানের। অতীতের পরিসংখ্যান নিয়ে ভাবতে নারাজ জুয়ান। আগে ক’টা ডার্বি জিতেছি, কী হয়েছে, সেটা নিয়ে আমি ভাবতে রাজি নই। ডার্বি নিয়ে দলের উপর আলাদা করে চাপ নেই। আমরা খারাপ খেললে তবে দলের উপর চাপ থাকত। ভাল খেললেও গোল করতে পারছি না। এটা বড় সমস্যা সেই জন্যই খারাপ লাগছে। আশাকরি ডার্বি ম্যাচেই ভুল শুধরে নেব। তবে ওদের দলটা ভাল।”