ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : যারা আইএসএল খেলছে তারা ৪০ কোটি, ৫০ কোটি টাকার ভাল দল গড়ছে। আর ইস্টবেঙ্গল মাত্র ২০ কোটি টাকার দল গড়ছে। যে কারণে আইএসএলে মুখ থুবড়ে পড়ছে। এমন অসম লড়াই করে সাফল্য পাওয়া যায় না। তাই বেশি টাকার দল গড়ার লক্ষ্য নিয়ে প্রয়াত পল্টু দাসের প্রয়াণ দিবসে শপথ নিলেন ইস্টবেঙ্গলের সর্বময় কর্তা দেবব্রত সরকার।
বুধবার,ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে পল্টু দাসের প্রয়াণ দিবসের অনুষ্ঠানে দেবব্রত সরকার নতুন করে লড়াইয়ের ডাক দিলেন। তাঁর কথায়,”অন্য দল ৫০ কোটি টাকা খরচ করছে। আর আমরা ২০ কোটি টাকা দিয়ে দল গড়ছি। এই ভাবে ভাল দল গড়া সম্ভব নয়। এর জন্য লগ্নিকারী সংস্থাকে বোঝাতে হবে। আগামীকাল আমরা আমাদের লগ্নিকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছি। আজ শপথ নিচ্ছি, কাল থেকেই আমাদের লড়াই শুরু। ইস্টবেঙ্গলের সকল সদস্য-সমর্থকদের এই লড়াইয়ের পাশে থাকার জন্য অনুরোধ করছি। কেউ কেউ বলে থাকেন যে আমরা ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য লড়াই করছি। এই ভাবনা মাথায় আনবেন না। ক্লাবের স্বার্থে সবাই পাশে থাকুন। আমি শপথ নিচ্ছি, আগামী দুই বছরের মধ্যে আমরা আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হব।”
দেবব্রত সরকারের এমন বক্তব্য কোথাও যেন লগ্নিকারীদের প্রতি হুঙ্কার দেওয়ার সমান। দেবব্রত সরকারকে সমর্থন করে মেয়র ফিরহাদ হাকিম ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র ছাড়ার সময় বলে গেলেন,”ইস্টবেঙ্গল একটা খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তবে এটাও ঠিক একটা দল ৫০ কোটি টাকা খরচ করে দল গড়ছে। আর ইস্টবেঙ্গল মাত্র ২০ কোটি টাকার দল গড়ছে। ফারাকটা অনেক। মুখ্যমন্ত্রী ইনভেস্টর এনে সাহায্য করেছেন। এবার আমাদের উচিৎ ওদের ভাল করে বোঝানো। প্রয়োজন হলে অন্যদেরও সাহায্য নিতে হবে।” ইমামি যদি বেশি টাকা না দেয় তাহলে কি অন্য ইনভেস্টরের খোঁছ শুরু করা হবে? জবাবে ফিরহাদ বলেন,”যারা আছে তাদের রেখেই এগোতে হবে। সেরকম হলে তাদের সঙ্গে অন্যদেরও নিয়ে আসতে হবে।”
আসলে মোহনবাগানের আইএসএল জয়,সঙ্গে ক্লাবের নামে আগে এটিকে সরে যাওয়া – সব মিলিয়ে বিরাট চাপে পড়ে গিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। আগামীকাল,বৃহস্পতিবার বৈঠকে ইমামি যদি দল গড়ার ব্যাপারে বেশি টাকা লগ্নি না করার বার্তা দেয়, তাহলে কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে ইমামির সংঘাত অনিবার্য।
এদিকে এদিন, ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পল্টু (দীপক) দাসের ২২তম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের গুণী ব্যক্তিদের সম্মানিত করা হল। বুধবার ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে দীপক জ্যোতি জীবনকৃতি সম্মান’ প্রদান করা হয় বিশিষ্ট সাহিত্যিক মণিশঙ্কর মুখোপাধ্যায় এবং বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ সুকুমার মুখার্জিকে। ‘দীপক জ্যোতি দিশারি’ সম্মানে ভূষিত করা হয়
টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটির আচার্য সত্যম রায়চৌধুরীকে।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শ্যাম থাপা, ভাস্কর গাঙ্গুলি, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, অতনু ভট্টাচার্য, অমিত ভদ্র, বিকাশ পাঁজি, তরুণ দে থেকে অমিত দাস, অলোক দাস,সঞ্জয় মাঝি,গৌতম ঘোষ সহ এক ঝাঁক ফুটবলার। ছিলেন আইএফএ-এর শীর্ষস্থানীয় কর্তারাও।
সদ্য প্রয়াত ক্রীড়াসাংবাদিক অভিজিৎ সরকারের পরিবারের পাশে দাঁড়াল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। এদিন মঞ্চে প্রয়াত অভিজিৎ সরকারের স্ত্রী নিবেদিতা সরকারের হাতে ২ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়।