ইউনাইটেড স্পোর্টস -১ (তারক হেমব্রম)
সাদার্ন সমিতি -০
ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন,১১সেপ্টেম্বর,কলকাতা : ম্যাচের বয়স তখন ৬১ মিনিট ৫৭ সেকেন্ড। সাদার্নের টপ বক্স থেকে ইউনাইটেড স্পোর্টসের তন্ময় ঘোষের বাঁ পায়ের অসাধারণ শট বিপক্ষ দলের ক্রশপিসে লেগে বল নিচে নেমে আসে। বলটা ক্রশ পিসে না লেগে সরাসরি গোলে ঢুকলে বিশ্বমানের গোল হতে পারত। হতাশ তন্ময়, হতাশ কোচ,কর্তরা। বলটা ক্রশপিসে লেগে বলটি ডেড হওয়ার পর ফিফা রেফারি প্রাঞ্জল ব্যানার্জি গোল কিক দিলেন। কিন্তু ইউনাইটেড স্পোর্টসের ফুটবলাররা গোলের দাবি করলেন না। লাইন্সম্যানও গোলের নির্দেশ দেননি। কিন্তু তন্ময়ের এই শট ক্রশপিসে লেগে সাদার্নের গোল লাইনের ভিতরেই পড়েছে। এই শটের ভিডিও দেখলেই বোঝা যাচ্ছে। আসলে ঘটনাটি এত দ্রুত ঘটেছে যে, ফুটবলার,রেফারি, লাইন্সম্যান – কেউ বুঝতেই পারেননি। অতএব গোলটি হলেও আড়ালেই থেকে গেল।

শনিবার,ইস্টবেঙ্গল মাঠে মুখোমুখি হয়েছিল ইউনাইটেড স্পোর্টস ও সাদার্ন সমিতি। বৃষ্টি ভেজা মাঠে সাদার্নকে ১-০ গোলে হারাল ইউনাইটেড স্পোর্টস। ইউনাইটেড স্পোর্টসের পক্ষে এদিনের ম্যাচে স্কোর লাইন হতে পারত ৪-০।
সাদার্ন সমিতি হেরেই চলেছে। পরপর চার ম্যাচে হার। তৃতীয় ম্যাচ হারার পর তাদের কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যকে কোচের দায়িত্ব থেকে সরে যেতে হয়েছে। এই সাদার্নেও এক ঝাঁক বাঙালি আছে। কিন্তু মাঠে ফুটবলারদের মধ্যে বোঝাপড়ার বড্ড অভাব। সেদিক দিয়ে দেখলে ছন্দময়, ভাসাম্যের ইউনাইটেড স্পোর্টসের বিরুদ্বে অসম লড়াই করে যা হওয়ার তাই হল। প্রত্যাশিত হার।

অন্যদিকে, ইউনাটেড স্পোর্টসের ফুটবলাররা শুরু থেকেই ছন্দময়। বিশেষ করে বৃষ্টি হওয়া সত্বেও ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে পাসিং ফুটবলের জলছবি বেগুনি শিবিরে। প্রল্হাদ রায়, বাসুদেব মান্ডি, তন্ময় ঘোষ, সুব্রত মুর্মূ, জগন্নাথ,করণ রায়রা নিজেদের মধ্যে প্রচুর পাস খেলে বিপক্ষের বক্সে হানা দিচ্ছিলেন বারবার। বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে তাঁদের দৃষ্টি নন্দন ফুটবল দেখলেন উপস্থিত দর্শকরা।

এদিন ইউনাইটেডের তন্ময়, বাসুদেব,সুব্রত এবং জগন্নাথ অসাধারণ ফুটবল খেললেন। বিশেষ করে অধিনায়ক জগন্নাথ গোটা মাঠ জুড়ে খেলে গেলেন। বারবার বিপক্ষের গোল মুখে আক্রমণ করলেও শুধু গোলটাই হচ্ছিল না। দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে জয়সূচক গোলটি করেন তারক হেমব্রম।
হুগলি জেলার মগরার তারকের খেলায় এত গতি যে ওকে আটকাতেই সমস্যা। বিশেষ করে উইথ দ্য বল নিয়ে যে গতিতে তারক আক্রমণে উঠছিলেন তা অদুর ভবিষ্যতে যে কোনও দলের কাছে চিন্তার বিষয় হয়ে উঠতে পারে।

এবার ইউনাইটেড কর্তারা জেলা থেকে বেশ কিছু ভাল ফুটবলার তুলে এনেছেন। ম্যাচের পর ম্যাচে ভাল ফুটবল উপহার দিচ্ছেন অখ্যাত ফুটবলাররা। কর্তা নবাব ভট্টাচার্য বলছিলেন,”আগে ফুটবলাররা ভাল খেললে সাংবাদিকরা ফোন করত। এখন কদিন ধরে একাধিক এজেন্ট ফোন করছে। এটা মনে হয় বাংলার ফুটবলে ভাল বিজ্ঞাপন।”