ইনসাইড প্রতিবেদন,কলকাতা, ৩ জানুয়ারি : মৌ চুক্তি সাক্ষরিত না হওয়ায় মহমেডান স্পোর্টিংয়ের ইনভেস্টর বাঙ্কারহিল চলে যাওয়ার পথে। গত তিন মাস আগে নতুন ইনভেস্টর বাঙ্কারহিলের সঙ্গে পথ চলা শুরু করেছিল মহমেডান। দেওয়া হয়েছিল ৫০ শতাংশ শেয়ার। সাদা-কালো ব্রিগেড তখন আই লিগের দ্বিতীয় ডিভিশনের দল। এই ইনভেস্টর আনতে গিয়ে ক্লাবে বিস্তর বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল সচিব ও ফুটবল সচিব ওয়াসিম আক্রম ও দীপেন্দু বিশ্বাসকে। মহমেডান ক্লাবেরই কিছু কর্তা ইনভেস্টর আনতে বাধা দিয়েছিলেন। মহমেডান সমর্থকরা এই বাধা দেওয়ার ঘটনা জানতে পেরে বিদ্রোহ শুরু করলে ইনভেস্টর আনতে সক্ষম হন ওয়াসিম ও দীপেন্দু। কিন্তু ওই পযর্ন্তই।
গত তিন মাস ধরে মহমেডানকে টাকা দিয়ে গিয়েছে ইনভেস্টর বাঙ্কারহিল। কিন্তু এখনও পযর্ন্ত ক্লাব কর্তারা মৌ চুক্তি করেনি। তাতেই বেজায় চটেছেন ইনভেস্টর কর্তারা। উল্টে এখন বাজেটের বেশি টাকা চাইছেন কর্তারা। বাড়তি টাকা দিতে নারাজ ইনভেস্টর।
মহমেডান সূত্রের খবর, ক্লাবের কার্যকরী কমিটির সদস্য সংখ্যা ৩৪ জন। এদের মধ্যে কিছু পুরনো কর্তা আছেন যারা ইনভেস্টরের সঙ্গে মৌ চুক্তি করতে চাইছেন না। সেই সঙ্গে বেশ কিছু ‘অন্যায় আব্দার’ও করে বসেছেন। মূলত এই ‘কিছু’ কর্তার জন্যই মহমেডান ছেড়ে চলে যেতে চায় বাঙ্কারহিল।
ইনভেস্টরের অন্যতম কর্তা দীপক জানিয়ে দিয়েছেন, “এখনও মৌ চুক্তিতে সই করেনি ক্লাব। এভাবে কাজ করা যায় না। কর্তাদের কয়েকটা দিন সময় দিয়েছি। কথা মতো চুক্তি না করলে আমরা চলে যাব। এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত।”
অপেশাদার মহমেডানকে পেশাদারের রাস্তায় আনার চেষ্টা করছেন দীপেন্দু বিশ্বাস ও ওয়াসিম আক্রম। এমন ঘটনায় হতাশ হয়ে পড়েছেন। তবে তাঁরা ইনভেস্টরের কোনও দোষ দেখছেন না। আসলে ক্লাবের কার্যকরী কমিটির কিছু সদস্যই দায়ী বলে মনে করছেন ক্লাবের এক সিনিয়র কর্তা। তিনি বলছিলেন,”আমাদের ক্লাবে এমন কয়েকজন কর্তা আছে যারা ভাল কিছু করতে দিতে চায় না। এই করোনার সময়ে অনেক কষ্টে একটা ইনভেস্টর পাওয়া গিয়েছিল। এবার সেটাও হাতছাড়া হতে যাচ্ছে।”
আগামী ৯ জানুয়ারি থেকে আই লিগের মূল পর্বের ম্যাচ শুরু হবে। প্রথম ম্যাচেই মুখোমুখি মহমেডান ও সুদেবা এফসি। আই লিগের জন্য অনেক খরচ করে দল গড়েছে মহমেডান। দলকে পাঁচতারা হোটেলে রাখা, ফুটবলারদের নানান সুবিধা দেওয়া – সবই ইনভেস্টরের টাকায় করছেন ওয়াসিম, দীপেন্দুরা। এখন আই লিগের শুরুর আগেই ইনভেস্টর চলে গেলে মহা সমস্যায় পড়ে যাবে মহমেডান স্পোর্টিং।