ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন,২৯ এপ্রিল : কলকাতা লিগে বিদেশি ফুটবলার খেলানোর ক্ষেত্রে স্পনসর ও টিভি সম্প্রচার সংস্থার সঙ্গে আলোচনায় বসতে চলেছে আইএফএ। আজ বিকেলে বিদেশি ফুটবলার বিষয় নিয়ে আইএফএ-এর অফিস বেয়ারার্সরা বৈঠকে বসেছিলেন। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আইএফএ চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত, সভাপতি অজিত ব্যানার্জি,সচিব অনির্বান দত্ত, সহসভাপতি বিশ্বজিৎ ভাদুড়ি,স্বরূপ বিশ্বাস, সহসচিব সুফল গিরি এবং কোষাধ্যক্ষ দেবাশিস সরকার।
প্রাথমিকভাবে বিদেশিহী লিগই করতে চায় আইএফএ। তবে তার আগে লিগের স্পনসর ও টিভি সম্প্রচার সংস্থার সঙ্গে এই ব্যাপারে আলোচনা করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এই বৈঠকে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দুদিন আগে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন সমস্ত রাজ্যকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, জেলা, শহর এবং রাজ্য লিগ থেকে আই লিগ -২ পযর্ন্ত কোনও বিদেশি ফুটবলার খেলানো যাবে না। সেই সিদ্ধান্তকে মান্যতা দিয়েই আইএফও বিদেশিহীন লিগ করতে চায়। এই ব্যাপারে আইএফএ সচিব অনির্বান দত্ত জানান,”আমরাও চাই বিদেশিহীন ফুটবল লিগ হোক। ফেডারেশনের এই সিদ্ধান্তে ভাল,খারাপ দুটি দিকই আছে। বিদেশি ফুটবলার ছাড়া লিগ হলে বাংলার ফুটবলাররা বেশি সুযোগ পাবে। এটা ভাল দিক। কিন্তু লিগ করতে বড় অঙ্কের অর্থের খরচ হয়। এখন যদি স্পনসর বা টিভি সম্প্রচার সংস্থা বিদেশিহীন লিগে এগিয়ে না আসে তাহলে লিগ চালাতে আমাদের সমস্যা হবে। তাই আগে আমরা স্পনসর ও টিভি সম্প্রচার সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করব। তাদের মতামত জানবো তারপর পরবর্তী পদক্ষেপ করব।”
আইএফএ সভাপতি অজিত ব্যানার্জি বরাবরই বিদেশিহীন লিগ করার পক্ষে। উৎপল গাঙ্গুলি যখন আইএফএ-এর সচিব ছিলেন তখন অজিতবাবু বিদেশিহীন লিগ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। বিদেশিহীন লিগ নিয়ে অজিত ব্যানার্জি বলেন,”আমি সব সময় চেয়েছি বিদেশি ফুটবলার ছাড়া লিগ হোক। কারণ, পঞ্চম ডিভিশন থেকে বাঙালি ফুটবলাররা লড়াই করে যখন উপরে উঠছে তখন প্রিমিয়ারে গিয়ে যোগ্য বাঙালি ফুটবলাররা সেই ভাবে সুযোগই পাচ্ছে না। বিদেশিদের জন্য সেই সুযোগই পাচ্ছে না তারা। আইএফএ সচিব যে দুটি ব্যাখ্যা দিলেন তাতেও যুক্তি আছে। তবে আমার বক্তব্য বিদেশিহীন লিগের পক্ষেই থাকবে।”
প্রসঙ্গত, আইএফএ একটা অটোনোমাস বডি। সেই ক্ষেত্রে নিজেদের ফুটবল লিগ কি ভাবে করবে, কি তার মডালিটি হবে, বিদেশি ফুটবলারদের খেলানো হবে কি হবে না তা একমাত্র ঠিক করবে রাজ্য ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা আইএফএ। এই বিদেশিহীন লিগ করার ক্ষেত্রে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন রাজ্য গুলিকে পরামর্শ বা অনুরোধ করতে পারে,নির্দেশ দেওয়ার এক্তিয়ার তাদের নেই। কিন্তু রাজ্যের ফুটবলারদের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের সিদ্ধান্তকে মান্যতা দেওয়ার চেষ্টা করছে আইএফএ।