ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : দক্ষিণ কলকাতার বালক সংঘের শতবর্ষের অনুষ্ঠানে চাঁদের হাট। যদুবাবুর বাজার থেকে পায়ে হাঁটা দুরত্বে নর্দান পার্কের ঘেরা মাঠেই আছে শতাব্দী প্রাচীন বালক সংঘের ছোট্ট তাঁবু। শতবর্ষে পা রাখা বালক সংঘের ছোট্ট অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে হাজির ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার সন্দীপ পাতিল।
সন্দীপ ছাড়াও ছিলেন সিএবির সভাপতি স্নেহাশিস গাঙ্গুলি, আইপিএল কাউন্সিল সদস্য অভিষেক ডালমিয়া, প্রাক্তন ক্রিকেটার বরুণ বর্মন, উদয় ভানু। ছিলেন সিএবির প্রাক্তন পদাধিকারী বিশ্বরূপ দে। অনুষ্ঠানে সামিল হয়েছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক।
বালক সংঘের মাঠের কথা বলতে গিয়ে স্নেহাশিস গাঙ্গুলি বলছিলেন, “আমার খেলোয়াড় জীবনে সিএবি লিগে প্রথম ম্যাচ খেলেছিলাম এই মাঠে, বালক সংঘের বিরুদ্ধে। পরে যখন বাংলা দলে সুযোগ পেলাম তখন এই মাঠেই ইরানি ট্রফির প্রস্তুতি নিয়েছি। বালক সংঘকে নিয়ে আমার অনেক স্মৃতি আছে।”
অভিষেক ডালমিয়া বলছিলেন,”বালক সংঘের শতবর্ষের অনুষ্ঠানে থাকতে পেরে ভাল লাগছে। এই ক্লাবের কর্তাদের সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক আছে। বাবা এই ক্লাবে একটা সময় খেলতেন। এই মাঠে বাবার ডাবল সেঞ্চুরিও আছে। বছরের পর বছর ধরে বালক সংঘ খেলার মাঠে সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে থাকে। সামাজিক কাজও করে বালক সংঘ।”
সন্দীপ পাতিল বলছিলেন,”কলকাতায় যখনই আসি তখনই নস্টালজিক হয়ে যায়। অভিষেকের মুখে শুনছিলাম, দিলীপ দোশী, দেবাঙ্গ গান্ধীরা খেলে গিয়েছেন। বালক সংঘ আরও এগিয়ে যাক। আমার শুভেচ্ছা রইল।”
কলকাতা মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান,”আমরা ছোট বেলা থেকেই এই বালক সংঘের কথা শুনে আসছি। দক্ষিণ কলকাতার ক্রীড়া ক্ষেত্রে বালক সংঘ একটা নাম। অতীতের মতোই ভবিষ্যতেও এগিয়ে যাবে এই ক্লাব।” বিশ্বরূপ দের কথায়, “একটা সময় যখন বাংলার জঙ্গল মহলে ঢোকা যেত না, সেই সময় সিএবির প্রতিনিধি হয়ে সন্দীপ পাতিল জঙ্গলমহলে গিয়ে ক্রিকেটের একটি ক্যাম্প শুরু করেছিলেন। সন্দীপ পাতিল জেলার ক্রিকেট নিয়ে কাজ করেছেন। প্রতিভা তুলে আনার ব্যাপারে তাঁর ভাবনা চিন্তা আছে। আজ বালক সংঘের শতবর্ষের অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখতে পেয়ে ভীষন ভাল লাগছে।”
এদিন, অনুষ্ঠানে বিশেষ আকর্ষন ছিল ঘুড়ি ওড়ানো। সন্দীপ পাতিল, বরুণ বর্মন, অভিষেক ডালমিয়ারা ঘুড়ি ওড়ান। আগামী এক বছর ধরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে নিজেদের শতবর্ষ উৎযাপন করবেন বালক সংঘের কর্তারা।