ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল স্তর থেকে ফুটবলার তুলে আনতে জেলাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। লিগে খেলতে আসা জেলার ফুটবলার চায়লেই যুবভারতীতে থাকতে পারবেন। সেই ব্যবস্থাও তৈরি রেখেছেন ক্রীড়ামন্ত্রী। বাংলার ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য চমৎকার প্রস্তাব রাখলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তাঁর প্রস্তাব হল, এবার থেকে বাংলার ফুটবলারদের নিয়েই বয়স ভিত্তিক লিগ হোক। এমনটাই প্রস্তাব রেখেছেন রাজ্যের ক্রীড়া মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
গতকাল (শনিবার), বিকেলে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তিন প্রধান ক্লাব ও আইএফএ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। ইস্টবেঙ্গলের দেবব্রত সরকার,মোহনবাগানের সত্যজিৎ চ্যাটার্জি, মহমেডানের মহম্মদ কামারুদ্দিন, আইএফএ সভাপতি অজিত ব্যানার্জি, সচিব অনির্বান দত্ত ছাড়াও তিন সহসভাপতি ও কোষাধ্যক্ষ মন্ত্রীর এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এই বৈঠকেই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস চমৎকার প্রস্তাবটি রেখেছেন। সামনের বছর থেকে বয়স ভিত্তিক লিগ তো বটেই সেই সঙ্গে প্রথম ও দ্বিতীয় ডিভিশনেও শুধুমাত্র বাংলার ফুটবলারদের নিয়েই লিগ শুরু হোক। অর্থাৎ প্রিমিয়ার ‘এ’ ও ‘বি’ ডিভিশন ছাড়া প্রথম ডিভিশন থেকে পঞ্চম ডিভিশন পযর্ন্ত খেলুন বাংলার ফুটবলাররাই। ময়দানে একাধিক ক্লাব আছে যারা ভিন রাজ্য থেকে বিশেষ করে পাহাড় থেকে (মনিপুর, মিজোরাম ও অন্যান্য রাজ্য) ফুটবলার এনে খেলায়। ফলে বাংলার বহু ফুটবলার লিগে খেলার সুযোগ পায় না। রাজ্য ফুটবল নিয়ামক সংস্থা আইএফএ পরিচালিত বাংলার সর্বোচ্চ ফুটবল লিগে বাংলার ছেলেরাই ফুটবল খেলুন, সেটাই চায়ছেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এমনটা ঘটলে বাংলা থেকে বহু ফুটবল প্রতিভা উঠে আসবে খুব সহজেই।
ক্রীড়ামন্ত্রীর এই প্রশংসনীয় প্রস্তাবে মুগ্ধ আইএফএ। সব কিছু ঠিক থাকলে ক্রীড়ামন্ত্রীর এই প্রস্তাব, ভাবনাকে মান্যতা দিয়ে আগামী বছর থেকে বাস্তবে রূপ দিতে বদ্ধপরিকর আইএফএ।
এই প্রস্তাবের পর একটা প্রশ্ন উঠতেই পারে, তবে কি বাঙালিরাই শুধু লিগ খেলবে? ‘ইনসাইড স্পোর্টস’-এর ক্রীড়াপ্রেমী পাঠকদের জানিয়ে রাখি, বাংলার ফুটবলার বলতে শুধু বাঙালি ফুটবলারই লিগে খেলবেন তা কিন্তু নয়। বহু বছর ধরে যারা পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা অর্থাৎ সেই বাসিন্দা ভিন রাজ্যের অবাঙালি অথচ বাংলাতেই সেটলড। তারাও এই লিগে খেলবে। বিভিন্ন জাতি,ধর্মের হতে পারে তাতে কোনও সমস্যা নেই। শুধু সংশ্লিষ্ট ফুটবলারকে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে। এমনটাই বোঝাতে চেয়েছেন ক্রীড়ামন্ত্রী।
এই বৈঠকেই ক্রীড়ামন্ত্রী জানিয়েছেন,ময়দানে বা অন্য যে কোনও সমস্যা হলে তাঁকে যেন জানানো হয়। তিনি সব সময় আইএফএ-এর পাশে আছেন,থাকবেনও।