ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : ‘অর্জুন’ পেয়েছিলেন সাত বছর আগে। আর তার পরেই ‘পদ্মশ্রী’ পেলেন বাংলার মেয়ে মৌমা দাস। ৩৬ বছরের মৌমাই হলেন বাংলার টেবল টেনিসে প্রথম ‘পদ্মশ্রী’ পাওয়া খেলোয়াড়। অতীতে বাংলা থেকে যাঁরা ‘পদ্মশ্রী’ পেয়েছিলেন এঁরা হলেন, মিহির সেন, আরতি সাহা, গোষ্ট পাল, পঙ্কজ রায়, শৈলেন মান্না, চুনী গোস্বামী, পিকে ব্যানার্জি, মধুমিতা গোস্বামী, সৌরভ গাঙ্গুলি, বুলা চৌধুরী, জ্যোতির্ময়ী শিকদার ও ঝুলন গোস্বামী। স্বাভাবিক ভাবেই বাংলার টেবল টেনিস মহলে খুশির হাওয়া।
৩৬ বছরের মৌমা দাস বাংলার টেবল টেনিসের অন্যতম সেরা প্রতিভা ও তারকা। ২৫ বছরের কেরিয়ারে ৮ বারের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন। জিতেছেন বহু আন্তর্জাতিক পদক। ১৭ বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়ে পদক জিতেছেন। ১৯ বার কমনওয়েলথ টিটিতে পদক জিতেছেন। ২০১৯ সালে মা হয়েছেন। গত মার্চ মাস থেকে করোনা পরিস্থিতিতে কন্যা সন্তানকে নিয়ে খুব সাবধানে ছিলেন। আনুশীলন বন্ধই রেখেছিলেন জয়ন্ত পুশিলালের ছাত্রী মৌমা। “আমার খেলোয়াড় জীবনে যাঁরা আমার সব সময় পাশে থেকেছে, ভাল খেলার উৎসাহ দিয়ে গিয়েছে তাদের সবাইকে আমার এই সম্মান উৎসর্গ করছি। সঙ্গে আমার মেয়েকেও উৎসর্গ করছি।” জানিয়েছেন মৌমা।
এখন তাঁর ৩৬ বছর বয়স। তারই বন্ধু পৌলমী ঘটক অবসর নিয়ে কোচিংয়ে এসেছেন। মৌমা এখনই অবসর নিচ্ছেন না। তিনি আবার অনুশীলন শুরু করতে চান। কতদিন আর খেলবেন? ঠিক সময়ে সরে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
মৌমার সঙ্গে এমন এক কোচ ‘পদ্মশ্রী’ পেলেন যাঁর আরও আগে এই সম্মান পাওয়া উচিত ছিল। মাধবন নাম্বিয়ার। কেরলের এই অ্যাথলেটিক্স কোচের সেরা আবিস্কার ভারতের সোনার মেয়ে পি টি উষা। দেরিতে হলেও অবশেষে ‘পদ্মশ্রী’ পেলেন ৮৯ বছরের নাম্বিয়ার।
১৯৯০ সালে অবসর নেওয়ার আগে পর্যন্ত উষার ব্যক্তিগত কোচ ছিলেন। এই নাম্বিয়ারই প্রথম ভারতীয় অ্যাথলিটদের মধ্যে পারফরম্যান্স-বর্ধনকারী ওষুধের ব্যবহার সম্পর্কে তিনি সোচ্চার হয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, এই জাতীয় ওষুধের সাথে ভারতীয় অ্যাথলিটদের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য বিদেশি কোচেদের দায়ী করেছিলেন নাম্বিয়ার।
এবছরে মৌমা ও নাম্বিয়ার ছাড়া যাঁরা ‘পদ্মশ্রী’ পাচ্ছেন তাঁরা হলেন অনিতা পাউলদুরাই (বাস্কেটবল/তামিলনাড়ু), অংশু জামশেনপা (পর্বতারোহী/অরুনাচল প্রদেশ), সুধা সিং (অ্যাথলিট/উত্তর প্রদেশ), বীরেন্দর সিং (কুস্তি/হরিয়ানা) ও কে ওয়াই ভেঙ্কটেশ (প্যারা অ্যাথলিট/কর্নাটক)।