বছরের শেষে চলে গেলেন ফুটবল সম্রাট পেলে

0

ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : নতুন বছর শুরু হওয়ার দুদিন আগেই চলে গেলেন। বিশ্ব ফুটবলের সম্রাট পেলে আর নেই। দীর্ঘদিন ধরেই ক‍্যান্সারে ভুগছিলেন। চলতি মাসের শুরুর দিকে সাওপাওলোর হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল তাঁকে। কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার চ‍্যাম্পিয়ন প্রসঙ্গে মেসির প্রশংসা করেছিলেন। তার কদিন পরে হাসপাতালেই মেয়েদের নিয়ে ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনে সময় কাটিয়েছিলেন। জীবন যুদ্ধের লড়াই তাঁর চলছিলই। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হল না। মৃত‍্যুকালে পেলের বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। বিশ্ব ফুটবলের রাজপুত্র মারাদোনার মৃত‍্যুর দুই বছর পর এবার সম্রাট পেলেও চলে গেলেন সবাইকে কাঁদিয়ে।

এডসন আরান্থেস দি নাসিমেন্তো – এই নামে চিনতো না কেউ। তিনি পরিচিত ছিলেন পেলে নামেই। ব্রাজিলের মিনাস জেরাইসে জন্ম ১৯৪০ সালের ২৩ অক্টোবরে। বাবা ছিলেন ব্রাজিলের ফ্লুমিনেন্স ক্লাবের ফুটবলার। বাবাকে দেখেই পেলের ফুটবলে আসা। তবে পেলের ছোটবেলা কেটেছে দারিদ্রের মধ‍্যে। সংসারে টাকার জোগান দেওয়ার জন‍্য তাঁকে চায়ের দোকানে কাজও করতে হয়েছে। স্ট্রিট ফুটবলার থেকে পেলের প্রথম ক্লাব হল বাউরু। অপেশাদার ফুটবল। তাঁর গোল করার ক্ষমতা ও ড্রিবলিং ছিল অতুলনীয়। ব্রিটো প্রথম পেশাদার ক্লাব স‍্যান্টোসে পেলেকে নিয়ে আসেন। তারপর আর পেলেকে পিছনে তাকাতে হয়নি।

‘বড়দিনে’ অসুস্থ বাবার বুকে মেয়ে। ২৬ ডিসেম্বর সাও পাওলোর হাসপাতালে

পেলে স‍্যান্টোসের হয়ে টানা ১৮ (১৯৫৭ – ১৯৭৪) বছর খেলেছিলেন। পরে নিউ ইয়র্ক কসমোসের হয়ে খেলেছেন ২ বছর (১৯৭৫-১৯৭৭)। তাঁর ২১ বছরের ফুটবল জীবনে ম‍্যাচ খেলেছেন ১৩৬৩টি। গোল করেছেন ১২৮১টি। যা এখনও রেকর্ড হয়ে আছে। যার মধ‍্যে ব্রাজিলের হয়ে টানা ২০ বছর (১৯৫৭-১৯৭৭) খেলে ৯২ ম‍্যাচে গোল করেছেন ৭৭টি।

১৯৫৮ সালে ব্রাজিলের হয়ে প্রথম বিশ্বকাপে অংশ নিয়েই চ‍্যাম্পিয়ন হয়ে বাজিমাত করেছিলেন পেলে। পর পর চারটি বিশ্বকাপে খেলেছেন। তার মধ্যে তিন বার চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। ১৯৫৮,১৯৬২ এবং ১৯৭০ – এই তিনবার পেলে বিশ্বকাপ জিতেছেন। যা বিশ্ব ফুটবলে রেকর্ড। আজ পযর্ন্ত কোনও ফুটবলার তিনবার বিশ্বকাপ জিততে পারেননি, যা পেলে করে দেখিয়েছেন।

বিশ্বে ফুটবল যতদিন থাকবে ততদিন থেকে যাবে তাঁর গোল,ড্রিবলিং। থেকে যাবে তাঁর মুগ্ধতার ফুটবল। পেলে নামটা থেকে যাবে ফুটবল সম্রাট হিসেবেই। তাতে কোনও সন্দেহ নেই। শুধু “…. মুকুটটাতো পড়েই আছে,রাজাই শুধু নেই…”।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here