ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : ফের বিপদের ভ্রুকুটি। আবার চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে গেল শতাব্দী প্রাচীন ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। সারদা কাণ্ডের পর এবার রোজভ্যালি কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। তবে এবার দেবব্রত সরকার নয়, সিবিআই চিঠি পাঠাল ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের হিসাবরক্ষক দেবদাস সমাজদারকে। একবার নয়, সিবিআই দু-দুবার চিঠি পাঠিয়েছে।
![](https://insidesports.in/wp-content/uploads/2021/02/PicsArt_02-14-01.49.36-950x1024.jpg)
এই বিষয়ে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে সিবিআই প্রথম চিঠি দেয় গত ২৯ ডিসেম্বর। কর্তা দেবদাস সমাজদারকে উদ্দেশ্য করে চিঠি লেখে সিবিআই। ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবদাসকে লেখা চিঠিতে ক্লাবের সঙ্গে রোজভ্যালির কোনও আর্থিক লেনদেন হয়েছিল কিনা সেই বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সিবিআইয়ের সেই চিঠির কোনও উত্তর দেয়নি দেবদাস বা ইস্টবেঙ্গল। চিঠির উত্তর না পেয়ে সিবিআই ফের ৫ জানুয়ারি চিঠি পাঠায় ইস্টবেঙ্গল ক্লাব সভাপতি প্রণব দাশগুপ্তকে (দুটি চিঠিই আমরা ইনসাইড স্পোর্টসের পাঠকদের সামনে তুলে ধরলাম)। সেই চিঠিতে গত ৭ জানুয়ারির মধ্যে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। চিটফান্ড কোম্পানি রোজভ্যালির সঙ্গে কোনও আর্থিক লেনদেন হয়ে থাকলে সেই সংক্রান্ত কাগজপত্র জমা দেওয়ার কথাও সেই চিঠিতে উল্লেখ ছিল।
প্রশ্ন হল, রোজভ্যালির সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল যদি কোনও লেনদেন নাই করে থাকে তাহলে সিবিআইয়ের চিঠির জবাব দিচ্ছে না কেন?
![](https://insidesports.in/wp-content/uploads/2021/02/PicsArt_02-14-01.47.50-968x1024.jpg)
ক্লাব সূত্রের খবর, সিবিআইয়ের এই চিঠির বিষয় নিয়ে ক্লাব যথেষ্ট চাপে আছে। তবে ক্লাব কর্তাদের একটি সূত্র জানাচ্ছে, সিবিআইয়ের চিঠির উত্তর নাকি দেওয়া হয়েছে। সিবিআই ইস্টবেঙ্গলের জবাব পেয়েছে কিনা তা এখনও পযর্ন্ত ‘ইনসাইড স্পোর্টস’ জানতে পারেনি।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে সারদা কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বেশ কয়েকমাস জেলে কাটাতে হয় ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কর্তা নীতু ওরফে দেবব্রত সরকারকে। পরে তিনি জামিন পেলেও সেই মামলা এখনও চলছে। চার বছর পর ফের ইস্টবেঙ্গলের কর্তা দেবদাস সমাজদারকে সিবিআইয়ের চিঠি দেওয়ার ঘটনা নি:সন্দেহে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কর্তাদের চাপ বাড়িয়ে দিয়েছে।
![](https://insidesports.in/wp-content/uploads/2021/02/IMG_20210209_114806-4-1024x297.jpg)
এদিকে, নিজেদের ক্লাব কর্তাদের সিবিআইয়ের চিঠি দেওয়া দেখে চিন্তায় ইনভেস্টর শ্রী সিমেন্ট। তারা ক্লাব কর্তাদের উপর বিরক্ত। শ্রী সিমেন্টের এক প্রতিনিধি (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) ‘ইনসাইড স্পোর্টস’-কে বলছিলেন,”আমরা সব সময় ক্লিন ইমেজ রেখে ক্লাব পরিচালন করতে চাই। যে কারণে বোর্ড অফ ডিরেক্টর কমিটিতে নীতুকে বাদ দিয়ে করতে চেয়েছি বার বার। খুবই দূঃখজনক ঘটনা। কিছু বলার নেই। এই ধরনের তদন্ত আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। খারাপ কিছু না হলেই ভাল। আবার বলছি, এই ঘটনা বাঙ্গুর স্যার ভাল ভাবে নেবেন না। দেখা যাক কি হয়।”