ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন,১৮ মার্চ : ফাইনালের হার সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করলেন ‘দঙ্গল’ পরিবারের সদস্য কুস্তিগীর রীতিকা ফোগট।
ভারতীয় কুস্তির ইতিহাসে উজ্জ্বল নাম গীতা ও ববিতা ফোগট। তাঁদের নিয়েই ‘দঙ্গল’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন আমির খান। সেই ফোগট পরিবারের ১৭ বছরের কুস্তিগীর রীতিকা প্রতিযোগিতায় ব্যর্থতা মেনে নিতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। উল্লেখ্য, ববিতা ও কবিতা ফোগটের তুতো বোন ছিলেন রীতিকা। মাত্র ১৭ বছর বয়সি এই কুস্তিগীর যথেষ্ট খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। বৃহস্পতিবার তার আত্মহত্যার খবরে শোকস্তব্ধ ক্রীড়া মহল। রীতিকার কাকা তথা কিংবদন্তি কুস্তিগীর মহাবীর সিং ফোগটের বাড়িতে মিলেছে রীতিকার দেহ।
ভরতপুরে ১২- ১৪ মার্চ ছিল রাজ্য স্তরের কুস্তি প্রতিযোগিতা ৷ সেই ফাইনালে মাত্র এক পয়েন্টে হেরে যান রীতিকা। এরপর থেকেই তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন বলে জানা গিয়েছে। ওই টুর্নামেন্টে উপস্থিত ছিলেন তাঁর বাবা ও কাকা মহাবীর ফোগট। চরখি দাদরির ডেপুটি পুলিশ সুপার রাম সিং বিষ্ণোই জানিয়েছেন, “ববিতা ফোগটের তুতো বোন কুস্তিগীর রীতিকা ১৭ মার্চ আত্মঘাতী হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজস্থানে সাম্প্রতিক রেসলিং টুর্নামেন্টে হারের কারণেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা। তদন্ত চলছে। কুস্তিগীর যে মানসিকভাবে এতটা ভেঙে পড়েছিলেন, তা কেউই আঁচ করতে পারেননি ৷
দ্রোণাচার্য পুরস্কারজয়ী কুস্তিগীর মহাবীর সিং ফোগটের কাছেই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছিলেন রীতিকা ৷ তিনি মহাবীর ফোগটের স্পোর্টস অ্যাকাডেমিরই ছাত্রী ছিলেন। মহাবীর ফোগটের জীবন ও তাঁর দুই কন্যা গীতা ও ববিতার উত্থানের কাহিনী নিয়ে ২০১৬ সালে ‘দঙ্গল’ চলচ্চিত্রে তুলে ধরেছিলেন আমির খান ৷ সেই পরিবারেই সদস্য হল রীতিকা ৷
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের কমনওয়েলথ গেমসে দেশকে কুস্তিতে সোনা এনে দিয়েছিলেন গীতা ৷ তিনিই প্রথম মহিলা কুস্তিগীর যিনি ২০১২ সালে অলিম্পিকে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন ৷ তাঁর বোন ববিতা ২০১০ সালের কমনওয়েলথ গেমসে রুপো জিতেছিলেন ৷