প্রয়াত অলিম্পিয়ান তুলসীদাস বলরাম

0

ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন,১৬ ফেব্রুয়ারি : ভারতীয় ফুটবল জগতে ইন্দ্র পতন। পিকে-চুনীর পর এবার বলরাম চলে গেলেন। একটা যুগের পরিসমাপ্তি ঘটল। আজ দুপুর দুটো পাঁচ মিনিটে এক বেসরকারি হাসপাতালে মূত‍্য হয় বলরামের। তাঁর মৃত‍্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তিনি গত দেড় বছর ধরেই বার্ধক‍্যজনিত রোগে ভুগছিলেন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পিকে-চুনী-বলরাম এই ত্রয়ী ছিলেন ভারতীয় ফুটবলের সম্পদ। এই তিন ফুটবলারের জন‍্যই পাঁচের দশকের শেষ ও ছয়ের দশকে ভারতীয় ফুটবলকে একটা উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। ১৯৬২ সালের জাকার্তা এশিয়াডের ফাইনালে দক্ষিণ কোরিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে সোনা জিতেছিল ভারত। ১৯৫৬ সালে মেলবোর্ন ও ১৯৬০ সালে রোম অলিম্পিক, মারডেকা কাপ সব জায়গায় নজর কেড়েছিল ভারত। আর তা হয়েছিল এই ত্রয়ীর দাপটেই।

হায়দরাবাদ থেকে কলকাতায় এসেছিলেন। তারপর থেকেই কলকাতাতেই থেকে গিয়েছেন। বিয়ে করেননি। উত্তরপাড়ায় একটা ছোট্ট ফ্ল‍্যাটে থাকতেন এই কিংবদন্তি ফুটবলার। তবে ইস্টবেঙ্গল ও এআইএফএফের উপর তাঁর অভিমান ছিল সেই কারণেই খেলাধূলার জগত থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। গত বছর তিনি একটি অনুষ্ঠানে জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁর মৃতদেহ যেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে না নিয়ে যাওয়া হয়। ‘অর্জুন’ ছাড়া কিছুই পাননি। যোগ‍্য থাকা সত্বেও বলরামকে ‘পদ্মশ্রী’ খেতাব দেওয়া হয়নি। পিকে- চুনী চলে যাওয়ার পর বাংলায় ফুটবলের দুই অলিম্পিয়ান – বলরাম ও অরুণ ঘোষ বেঁচে ছিলেন। এবার বলরাম চলে গেলেন। আর অসুস্থতার কারণে অরুণ ঘোষ এখন বাড়িতেই থাকেন। অরুণ ঘোষ হলেন বাংলায় শেষ অলিম্পিয়ান (ফুটবল)।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here