ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন, ৭ নভেম্বর : বাংলার ক্যারাটে জগতে ঘুঘুর বাসা? ইঙ্গিত সেরকমই দিয়ে দিলেন অল বেঙ্গল স্পোর্টস ক্যারাটে অ্যাসোসিয়েশনের কর্তারা। এক ঝাঁক খেলোয়াড় নিয়ে বাংলার ক্যারাটে বাঁচাতে আসরে অল বেঙ্গল স্পোর্টস ক্যারাটে অ্যাসোসিয়েশন। সোমবার কলকাতার প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে এই সংস্থা। তাঁদের লক্ষ্য প্রেমজিত সেন। এই প্রেমজিতের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনলেন কর্তারা। সংস্থার সচিব দেবাশিস মন্ডল জানান,” রাজ্য যে ক্যারাটে সংস্থা আছে, তা ইন্ডিয়া অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের অনুমোদন নেই। তাহলে কিসের ভিত্তিতে এই সংস্থাকে বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের অ্যাসোসিয়েট মেম্বারশিপ দেওয়া হয়? আমরা বিওএ-র নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। স্বপন বাবু নতুন সভাপতি হয়েছেন। আমরা খুব শীঘ্রই বিওএকে এই বিষয়ে চিঠি পাঠাচ্ছি। আশাকরি বিওএ বিবেচনা করে দেখবে।”
আসলে বাংলার ক্যারাটে ঘিরে কোন্দল দীর্ঘদিনের। বাংলার ক্যারাটে মানেই সবাই প্রেমজিত সেনকেই জানে। তাঁর হাত ধরেই উঠে এসেছে একাধিক খেলোয়াড়। আজ তারাই প্রেমজিতের ‘অনৈতিক’ কাজের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। নানান অভিযোগ তুলে এবার প্রেমজিত সঙ্গ থেকে বেড়িয়ে এসে পাল্টা এই অ্যাসোসিয়েশন তৈরি হয়েছে কয়েক মাস আগেই। প্রেমজিতের ঘনিষ্টদের একটা বড় অংশ তাঁর সঙ্গ ছেড়েছে।
এই সংস্থার কোষাধ্যক্ষ সুধীর বিশ্বাস সাংবাদিক সম্মেলনে জানান,”বিভিন্ন টুর্নামেন্টের জন্য খেলোয়াড়দের কাছ থেকে টাকা নিয়ে থাকে এই লোকটা। খেলোয়াড়দের শেষ করে দিচ্ছে। স্টেট গেমসে খেলোয়াড়দের টাকা দিতে হয় না। সেখানেও টাকা নেওয়া হয়েছে। বছরের পর বছর এটাই করে আসছে।” সচিব দেবাশিস মন্ডলের দাবি, বিভিন্ন জেলা সংস্থায় স্বজনপোষন করে চলেছে। যা কোনও সুস্থ মানুষ মেনে নিতে পারবে না। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে সামিল হয়েছিলেন বাংলার কোচ (এই সংস্থার দ্বারা নির্বাচিত) স্বরাজ সিং। সঙ্গে ছিলেন এক ঝাঁক প্রতিভাবান ক্যারাটে খেলোয়াড় ও সংস্থার সভাপতি কৌশিক বসু, ট্রেজারার সুধীর বিশ্বাস, সহসভাপতি নীলোৎপল দত্তসহ এক ঝাঁক কর্তা। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আরও বেশ কিছু খেলোয়াড় ও কর্তা এই সংস্থায় যোগ দিয়ে ফের সাংবাদিকদের হাতে আরও বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরতে চান বলে জানাল অলবেঙ্গল স্পোর্টস ক্যারাটে অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃপক্ষ। প্রেমজিতের এক অতি ঘনিষ্ঠ এক সিনিয়র কর্তাও ( নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক) বললেন,”রাজ্য ক্যারাটেতে ঘুঘুর বাসায় পরিণত করেছে। দড়ি ধরে টান মারার সময় এসে গিয়েছে। আর কটা দিন অপেক্ষা করুন, আমি সেই দিন সামনে এসে সব জানাব। ” তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রতিক্রিয়া জানতে প্রেমজিৎ সেনকে ফোন করা হয় দুবার। কিন্তু দুবারই ফোনে তাঁকে পাওয়া যায়নি (পরিষেবার বাইরে ছিলেন)।