◆সন্দীপ দে◆
উত্তর ২৪ পরগনা জেলা ফুটবলকে অনেকেই বলে থাকেন ‘রত্নগর্ভা’। মামলা-মকদ্দমায় জেলা লিগ বন্ধ গত তিন বছর ধরে। তবু অনেকেই এই জেলায় ব্যক্তিগত উদ্যোগ নিয়ে জেলার ফুটবলক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। উল্লেখযোগ্য নাম শ্যামনগরের বাসিন্দা নবাব ভট্টাচার্য। এবার আসরে নেমে পড়েছেন নৈহাটি বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। তিনি চলতি মাসেই স্কুল ফুটবল করতে চলেছেন।
এই জেলার ফুটবলকে ফেরাতে হলে তৃণমূল স্তরে পৌঁছতে হবে। আর সেটা করতে হলে স্কুল ফুটবল ছাড়া গতি নেই। সোমবার বিকেলে মহমেডান ক্লাব তাঁবুতে বসে ‘ইনসাইড স্পোর্টস’কে বলছিলেন নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক।
শুধু কি বাংলা মিডিয়াম স্কুল খেলবে? এই টুর্নামেন্টের ফরম্যাট কি? উত্তরে পার্থ ভৌমিক বলেন,”বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে ৭টি বিধান সভা আছে। এই সাতটি বিধানসভায় জুড়ে স্কুল ফুটবল টুর্নামেন্ট হবে। প্রতিটি বিধানসভায় যত স্কুল আছে সবাই অংশ নেবে। প্রতিটি বিধানসভায় চ্যাম্পিয়ন টিমদের নিয়ে চ্যাম্পিয়নস অফ চ্যাম্পিয়ন -এর খেলা হবে নৈহাটি স্টেডিয়ামে। কয়েক দিনের মধ্যে আমরা সমস্ত বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছি। আমাদের লক্ষ্য হল স্কুল ফুটবল থেকে কিছু প্রতিভা তুলে আনা।”
নদীয়ার কল্যাণীর স্টেডিয়াম,ফুটবল চর্চা একটা উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন নীলিমেশ রায়চৌধুরী। আর উত্তর২৪ পরগনা জেলার নৈহাটিতে ক্রীড়া প্রশাসক হিসেবে উঠে আসছেন বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। তিনি একটা সময় চুটিয়ে জেলা ফুটবল খেলেছেন। রাজনীতির জগতে ঢুকে পড়লেও ফুটবল তাঁকে এখনও টানে।
শোনা যায় নৈহাটির কাঠগোলার মাঠে খেলাধূলা আগে থেকেই হত। তবে কোনও পরিকাঠামো ছিল না। এলাকার বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরেই একটা স্টেডিয়ামের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এলাকার বিধায়ক পার্থ ভৌমিক মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্টেডিয়ামের জন্য আবেদন করেন। তারপর মেলে অনুমোদন। নৈহাটি স্টেডিয়াম তৈরি করতে ১৬ কোটি টাকা খরচ হয়। স্টেডিয়ামের দায়িত্ব পাওয়ার পর উন্নতমানের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন।
স্টেডিয়ামের মধ্যে আছে ঝকঝকে ড্রেসিংরুম,আছে পৃথক লকার। মাঠের চার কোণে চারটি ফ্লাড লাইট। রয়েছে রেফারিদের ঘর, প্রেস বক্স, ভিআইপি বক্স এবং কমেন্ট্রি বক্স।
ইতিমধ্যে কলকাতা লিগ ও আই লিগের ম্যাচ সুষ্ঠুভাবে হয়েছে। পার্থবাবুর লক্ষ্য অদুর ভবিষ্যতে আরও বড় মাপের টুর্নামেন্টের ম্যাচ করাতে চাইছেন। তার জন্য গ্যালারিতে বাকেট চেয়ার বসানোর চিন্তা ভাবনা শুরু করে দিয়েছেন বিধায়ক।
স্কুল ফুটবলের পাশাপাশি সিনিয়রদের টুর্নামেন্ট নৈহাটি গোল্ড কাপ করতে চলেছে এই মাসেই। গত বছর থেকে এই টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছে। এবার এই টুর্নামেন্টে মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল ও মহমেডান স্পোর্টিংকে খেলানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন পার্থ ভৌমিক। আর সেই কারণেই সোমবার বিকেলে নবাব ভট্টাচার্য ও বিজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারীকে সঙ্গে নিয়ে ইস্টবেঙ্গল ও মহমেডান ক্লাবে গিয়ে কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। মোহনবাগান সচিব ও ফুটবল সচিব কলকাতার বাইরে থাকায় ফোনেই কথা বলেন পার্থবাবু।
নৈহাটি গোল্ড কাপে তিন প্রধানকে খেলতে দেখা যাবে? পার্থ ভৌমিক বলেন.” আমরা তিন প্রধান ক্লাবকেই খেলার প্রস্তাব দিয়েছি। প্রাথমিকভাবে কথা হয়েছে। ওরা খেলতে আগ্রহী। তাছাড়া লিগের আগে গোল্ড কাপকে তাদের প্রস্তুতি ম্যাচ হিসেবেও দেখে নিতে পারেন। তবে কিছু সমস্যা থাকায় সরকারি ভাবে এখনও খেলার ব্যাপারে নিশ্চিত করেননি তিন প্রধানের কর্তারা। তবে আমরা আশাবাদী “।