◆গোল করার পর দিমিত্রি পেট্রাটস,রবিবার কোচিতে◆
◆কেরল ব্লাস্টার্স – ২ (ইভান কালিউঝনি,রাহুল কেপি)
◆এটিকে মোহনবাগান – ৫ (পেট্রাটস-৩,জনি কাউকো,লেনি রডরিগেজ)
ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : রবিবার কোচির দর্শক ভর্তি স্টেডিয়ামে জ্বলে উঠল এটিকে মোহনবাগান। এতদিন রয়কৃষ্ণাকে ছেড়ে দেওয়ার ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে কর্তাদের সমালোনা চলছিল। আজ, আইএসএলের দ্বিতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলীয় অ্যাটাকিং মিডিও দিমিত্রি পেট্রাটস যে ভাবে জ্বলে উঠলেন তাতে বাগান সমর্থকরা বাকি ম্যাচে ভরসা পেতে পারেন।
২৯ বছরের পেট্রাটস গত রাশিয়া বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া জাতীয় স্কোয়াডে ছিলেন। এদিনের ম্যাচে যা খেললেন তার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে রয়কৃষ্ণার অভাব দুর করতে পারবেন পেট্রাটস।
ডুরান্ড, এএফসি কাপে ব্যর্থ হওয়ার পর আইএসএলের প্রথম ম্যাচে (চেন্নাইয়ের কাছে) হারতে হয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠলেন কাউকো,মনবীর,লিস্টন, টাঙ্গরি,পেট্রাটসরা। তাও আবার কেরলের মাঠে এক গোলে পিছিয়ে পড়ার পর চমৎকার কামব্যাক করে মোহনবাগান বুঝিয়ে দিলেন আক্রমণাত্মক ফুটবল দিয়ে আইএসএলে চমকে দিতে তৈরি। এদিন পিছিয়ে গিয়েও পেট্রাটসের দুরন্ত হ্যাটট্রিকে কেরলকে ৫-২ গোলে হারিয়ে লিগ তালিকার পাঁচ নম্বরে উঠে এল এটিকে মোহনবাগান।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় তুলেছিল কেরল। মুহূর্মুহ আক্রমণে বাগানের রক্ষণ তখন দিশাহারা। ৬ মিনিটের মাথায় ইভান কালিউঝনির গোলে এগিয়ে যায় কেরল ব্লাস্টার্স। ১-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পরও কেরলের আক্রমণ জারি ছিল। আক্রমণের জবাব আক্রমণেই দিতে হবে, সেটা মনে করেই হয়তো বাগানের ফুটবলাররা আস্তে আস্তে প্রতি আক্রমণে উঠে গেলেন। পরিকল্পনা মাফিক আক্রমণ, নিজেদের মধ্যে পাস খেলতে খেলতে কেরলের রক্ষণকে চাপে ফেলতে শুরু করেন লিস্টন,বুমোসরা। জনি কাউকোর পাস থেকে লিস্টন গোলও করে ফেলেন। কিন্তু রেফারি অফসাইডের বাঁশি দিয়ে গোল বাতিল করেন। রেফারি যে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা রিপ্লেতে দেখে বোঝা গেল।
২৫ মিনিটের মাথায় হুগো বুমোসের পাস থেকে গোল করে বাগানকে সমতায় ফেরান পেট্রাটস। ১৪ মিনিট পর জনি কাউকোর গোলে এগিয়ে যায় জুয়ান ফেরান্দোর দল। মনবীরের পাস থেকে জোরালো শটে অসাধারণ গোল করেন কাউকে। ম্যাচ তখন দখল নিয়ে ফেলেছে মোহনবাগান। ৬২ মিনিটে গোল করেন পেট্টাটস। এর মধ্যে দুদুটি গোল খেতে খেতে বেঁচে যায় মোহনবাগান। ৮০ মিনিটে কেরলের রাহুলের শট বাগান গোলকিপার বিশাল হাত ফস্কে, দুই পায়ের মাঝখান দিয়ে বল জালে জড়িয়ে যায়। ম্যাচ তখন ৩-২। মাঠের দর্শকরা তখন চিৎকার করে কেরলকে এগিয়ে যাওয়ার সমর্থন জানাচ্ছে ক্রমাগত।
কেরল সমতা ফেরাতে তখন মোহনবাগানের বক্সে আছড়ে পড়ছে এক সঙ্গে ৬-৭ জন ফুটবলার। চাপ বাড়ছিল বাগানের রক্ষণে। কিন্তু প্রতি আক্রমণে উঠে ৮৮ মিনিটে পরিবর্ত ফুটবলার লেনি রডরিগেজ গোল করে ব্যবধান বাড়ান। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে ফের গোল করে নিজের হ্যাটট্রিক করেন দিমিত্রি পেট্রাটস। বড় ম্যাচের আগে কেরলকে পাঁচ গোল দেওয়ায় ছন্দে ফিরল মোহনবাগান।