ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : ঘরের মাঠে প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গল যে ফুটবল খেলল তাতে মনে হয়েছিল বিনু জর্জের ছেলেদের হার নিশ্চিত। কিন্তু সেটা আর হয়নি। পিছিয়ে থেকে ভবানীপুরের সঙ্গে ড্র করল ইস্টবেঙ্গল।
বৃহস্পতিবার ম্যাচে ভবানীপুর যে দাপট দেখাবে সেটা জানাই ছিল। পাঁচ ম্যাচে পাঁচটিতেই জয়। মনোবল চাঙ্গা রঞ্জন চৌধুরীর দলের। এই অবস্থায় প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গলের উপর চাপ রেখে গেল ভবানীপুর।
ঘন ঘন আক্রমণ সামাল দিতে পারছিল না ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্ডাররা। দিশাহীন ফুটবল। বেশ কয়েকটা গোলের সুযোগ তৈরি করেও গোল করতে পারেনি ভবানীপুর। ৩০ মিনিটে গোলরক্ষক আদিত্য পাত্রর ভুলে পিছিয়ে পড়ে লাল-হলুদ বাহিনী। বক্সের দিকে সুভাষ সিংয়ের দৌড় দেখে বল বাড়ান জিতেন মুর্মু। আদিত্য ও সুভাষের মাঝখানে বল। একের বিরুদ্ধে এক পরিস্থিতিতে আদিত্য নিজের নিয়ন্ত্রণে বল রাখাতে পারতেন। কিন্তু সেটাও পারেননি। তাঁর ভুলেই সুভাষ সিং গোল করে গেলেন।
ইস্টবেঙ্গল কোচ দ্বিতীয়ার্ধে সার্থক গোলুইকে তুলে নিয়ে মাঠে নামান তন্ময় দাসকে। তারপর থেকেই খেলায় ফেরে ইস্টবেঙ্গল। আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়তে থাকে। গোলের সুযোগও তৈরি করে। ৫৪ মিনিটে গোল করে সমতায় ফেরান দীপ সাহা। পরে আরও দু-একটি গোলের সুযোগ তৈরি করেও গোল করতে পারেননি ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা।
এদিনের ম্যাচের শেষে ৬ ম্যাচ খেলে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ভবানীপুর। একটি ম্যাচ বেশি খেলে ১৫ পয়েন্ট ইস্টবেঙ্গলের।