ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদন : প্রয়াত ফুটবলার কাজল চ্যাটার্জি। অসুস্থ ছিলেন। বুকে স্টেন বসানো হয়েছিল কিছুদিন আগে। গতকাল হঠাৎ বুকে ব্যাথা শুরু হলে পি জি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় কাজলবাবুকে। আজ সকাল ৭ টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পি জি হাসপাতালেই মৃত্যু হয় ইস্টবেঙ্গল, মহমেডানের প্রাক্তন মিডফিল্ডার কাজল চ্যাটার্জির। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
১৯৭৯ ও ১৯৮০ সালে ইস্টবেঙ্গলে খেলেছেন। ওই সময় ইস্টবেঙ্গলের কোচ ছিলেন পিকে ব্যানার্জি। ১৯৮০ সাল। সুরজিৎ সেনগুপ্ত, ভাস্কর গাঙ্গুলি সহ এক ঝাঁক ফুটবলার মহমেডানে চলে গেলেন। মিহির বসু সই করলেন মোহনবাগানে। ইস্টবেঙ্গলে তখন মজিদ বাসকর, কাজল চ্যাটার্জি। বাকি সব তারকা ফুটবলার ইস্টবেঙ্গল ছেড়ে চলে যান। সেই বছর ভাঙা দল নিয়ে কোচিং করিয়েছেন পিকে ব্যানার্জি। ওই বছর এক ডার্বি ম্যাচে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে কাজল চ্যাটার্জিকে ‘পুলিশম্যান’ হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন ইস্টবেঙ্গলের তৎকালীন কোচ পি কে ব্যানার্জি। ম্যাচের পরে পিকেই ‘পুলিশম্যন’ শব্দটা ব্যবহার করেছিলেন। তারপর থেকে গড়ের মাঠে কাজল চ্যাটার্জিকে ‘পুলিশম্যান’ হিসেবেই ডাকা হত।
কাজল চ্যাটার্জির মৃত্যুর খবর সকালেই পৌঁছে গিয়েছিল ভারতের প্রাক্তন ফুটবলার মিহির বসুর কাছে। তিনি ‘ইনসাইড স্পোর্টস’ কে বলছিলেন,”কাজল আর আমি একবছর ইস্টবেঙ্গলে খেলেছি। ও এত তাড়াতাড়ি চলে যাবে ভাবিনি।”
ডার্বি ম্যাচে কাজলবাবুকে কি ‘পুলিশম্যান’ হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন কোচ পিকে ব্যানার্জি? উত্তরে মিহির বসু বলেন,”ঠিকই বলেছো। প্রদীপদা, বড় ম্যাচে ওকে ‘পুলিশম্যান’ হিসেবে ব্যবহার করে সফল হয়েছিলেন। তবে মোহনবাগানের কোন ফুটবলারের পিছনে কাজলকে ‘পুলিশম্যান’ হিসেবে ব্যবহার করেছে সেটা আজ মনে নেই।”
কাজল চ্যাটার্জি খুব কাছের বন্ধু প্রাক্তন ফুটবলার তপন দাস বলছিলেন,”গতকাল বুকে ব্যাথা ওঠার পর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু ও যে এভাবে চলে যাবে এটা ভাবতেই পারছি না। অনেক স্মৃতি মনে পড়ছে। “